Train Compartment

Train Compartment: কামরার ভোলবদল, গাড়ি বইছে রেল

যাত্রিবাহী কামরার ভোল বদলছে। তাই এ বার পুরনো কামরাগুলি নষ্ট না-করে পণ্য পরিবহণে কাজে লাগাচ্ছে রেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

যাত্রিবাহী কামরার ভোল বদলছে। তাই এ বার পুরনো কামরাগুলি নষ্ট না-করে পণ্য পরিবহণে কাজে লাগাচ্ছে রেল। সূত্রের খবর, ওই কামরাগুলিকে সামান্য অদলবদল করে নতুন গাড়ি বহনে কাজে লাগানো হতে পারে। পণ্য পরিবহণ থেকে আয় বাড়াতে রেল কিছু দিন যাবৎ সচেষ্ট। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই নতুন পরিকল্পনা বলে জানা গিয়েছে। নতুন নতুন পদ্ধতিতে পণ্যের বাজার ধরতে প্রতি ডিভিশনে রেলের একটি করে বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

রেলের খবর, দূরপাল্লার একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেনের পুরনো ‘আইসিএফ’ কামরা পরিবর্তন করে তার জায়গায় আধুনিক প্রযুক্তির ‘এলএইচবি’ রেক চালানো হচ্ছে। ‘আইসিএফ’ কামরাগুলির একাংশকে ধীরগতির ট্রেন হিসেবে ভাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বাকি কামরাগুলিকে কিছুটা পরিবর্তন করে গাড়ি বা অটোমোবাইল পরিবহণে কাজে লাগানো হচ্ছে। সম্প্রতি ভোপালে এমন ২৫টি কামরা পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই কামরাগুলি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম। ভিতরের আসন খুলে ফেলে সেখানে প্রশস্ত জায়গা বের করা হচ্ছে। রেলকর্তাদের বক্তব্য, ওই কামরার মধ্যে সুরক্ষিত উপায়ে সড়ক পথের তুলনায় অনেক বেশি গতিতে নতুন চার চাকার গাড়ি, মোটরবাইক, স্কুটি গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব। বস্তুত, গাড়ি উৎপাদনকারীরা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক পথেই পণ্য শো-রুমে পাঠাতেন।

কয়লা, আকরিক, রাসায়নিক সার, বিভিন্ন খাদ্যশস্যের বাইরে থাকা অন্য পণ্যের বাজার ধরতেই রেলের এই মরিয়া চেষ্টা। সপ্তাহ কয়েক আগে এমন একটি রেলগাড়িতে কেরলের পালাক্কড় থেকে ৬৯০টি পাওয়ার টিলার অসমের ঘোগরাপুরে পৌঁছে দিয়েছে রেল। মাস কয়েক আগে ১১০০টি মোটরবাইক মহীশূর থেকে হাওড়ার সাঁকরাইলে আনা হয়েছে। একই ভাবে এসি-থ্রি টিয়ার কামরায় বাতানুকূল যন্ত্র চালিয়ে গোয়া থেকে প্রচুর চকলেট দিল্লিতে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন