কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার মহিষবাথানের বাসিন্দা স্বাতী আচার্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল আরও এক শিশু। বৃহস্পতিবার ওই মহিলার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিছুদিন আগে স্বাতী ও তাঁর এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে দু’টি শিশু উদ্ধার হয়। এর পরেই ওই মহিলা-সহ এক চিকিৎসক ও তাঁর সহকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করেই বছর দেড়েকের ওই শিশুকন্যার খোঁজ মেলে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই শিশুকে দত্তক নেন বলে দাবি করেন স্বাতী। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে।”
কোচবিহারের চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার স্নেহাশিস চৌধুরী বলেন, “বৈধ কাগজপত্র না থাকায় শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’’ নতুন করে আরেকটি শিশু উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ঘটনার পিছনে দীর্ঘদিন ধরে কোনও শিশু পাচার চক্র কাজ করছে কি না তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের কাছেই জানা যায়, ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত চিকিৎসক নিখিলেন্দু মহাপাত্র প্রায় চার বছর ধরে কোচবিহারের শহরের কাছে বাবুরহাটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্র্যাকটিস করতেন। নভেম্বরের শেষের দিকে স্বাতীদেবীর বাড়ি থেকে দুই শিশু উদ্ধার হওয়ার পরেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন ওই চিকিৎসক। এমনকি বার বার মোবাইল সিমকার্ড পাল্টে পুলিশকে ধন্দে ফেলে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই পুলিশ দিন দুয়েক আগে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। সেই সময় ধৃত অন্য দুই মহিলা পুলিশ হেফাজতে ছিল। সামনাসামনি বসিয়ে জেরা করে নানা তথ্য হাতে পায় পুলিশ। এর পরেই আর একটি শিশু উদ্ধার হয়। ধৃতের আইনজীবী শিবেন রায় অবশ্য বলেন, “ওই শিশুটি স্বাতীদেবীর নিজের সন্তান।”