TMC

TMC: পার্থর ‘স্বৈরাচারী’ আচরণে ক্ষুব্ধ গিরীন্দ্র, কোচবিহারে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

এ ভাবে চলতে থাকলে পার্থপ্রতিমের সঙ্গে রাজনীতি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন গিরীন্দ্রনাথ। এ অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ পার্থপ্রতিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২২ ১৪:২৩
Share:

কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। —নিজস্ব চিত্র।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আবারও জেরবার কোচবিহার তৃণমূল। কোচবিহারে দলের চেয়ারম্যান হওয়ার মাস দেড়েকের মধ্যে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। তাঁর দাবি, পার্থপ্রতিমের কাছ থেকে যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না। এমনকি, এ ভাবে চলতে থাকলে তাঁর পক্ষে একসঙ্গে রাজনীতি করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন গিরীন্দ্রনাথ। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ পার্থপ্রতিম।

প্রসঙ্গত, ৮ মার্চ কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে গিরীন্দ্রনাথকে সরিয়ে সেখানে পার্থপ্রতিমকে বসিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গিরীন্দ্রনাথকে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পদে বসান মমতা। সেই সঙ্গে দলের সকলকে একসঙ্গে চলার এবং যোগ্য সম্মান দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।

Advertisement

গিরীন্দ্রনাথের অভিযোগ, দলনেত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও জেলার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেন না পার্থপ্রতিম। সে কারণেই পার্থপ্রতিমের ঘোষিত কর্মসূচি কার্যত বয়কট করার ঘোষণা করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গিরীন্দ্রনাথের দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা খোলামঞ্চে বলেছিলেন, সকলকে সম্মান দিয়ে দল করতে হবে। তবে বর্তমান সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় সে কাজ করছেন না। জেলা জুড়ে সভা করার আগে এক বারও পরামর্শ করছেন না। স্বৈরাচারী হয়ে একাই তা ঠিক করছেন। পরে কারও মাধ্যমে সে কথা জানাচ্ছেন।’’ গিরীন্দ্রনাথের কথায়, ‘‘পার্থপ্রতিমের এই স্বৈরাচারী আচরণের জন্য আমি আহত ও ব্যথিত। যদি আমাকে যোগ্য সম্মান না দেন, তবে তাঁর প্রোগ্রামে থাকা সম্ভব নয়। আমি জেলা সভাপতি থাকাকালীন চেয়ারম্যানকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছিলাম।’’

এই ঘটনায় জেলা তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ পাচ্ছে না বলে দাবি গিরীন্দ্রনাথের। তিনি বলেন, ‘‘এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও প্রশ্ন নেই। সম্মান দিয়ে ডাকলে ভেবে দেখব। দলের সভাপতি যদি আমার সঙ্গে পরামর্শ করেন, তবে অবশ্যই মতামত দেব। সমস্ত কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করব। আমি দলের বাইরে নই। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, মেনে চলব। তিনি দলের সর্বোচ্চ নেত্রী। তাঁর কথাই শেষ কথা। তবে অপমানিত বোধ হলে থাকব না।’’

Advertisement

গিরীন্দ্রনাথের বক্তব্যে প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি পার্থপ্রতিম। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এটা দলীয় ব্যাপার। এ বিষয়ে মিডিয়াতে জানানোর মতো কিছু নেই। দলের কোর কমিটিতে আলোচনার মাধ্যমে আমরা বিষয়টি দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন