ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। সংশোধিত তালিকা মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও এ বার অসঙ্গতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, সংশোধিত তালিকায় নাম নেই, এমন এক ব্যক্তিকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে চলছে তোলপাড়।
সেপ্টেম্বরে একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলার সময় উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে গোলমাল হয়। অশান্তির জেরে মারা যান দুই যুবক। বিতর্ক এড়াতে তড়িঘড়ি নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয় রাজ্য সরকার। সেই জটে আটকে যায় নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াও। তার পরে গোটা রাজ্যে শূন্য শিক্ষকপদের সংশোধিত তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। একাদশ-দ্বাদশ স্তরে প্রায় ৫০০ শিক্ষকপদে রদবদল প্রয়োজন বলে জানতে পারে স্কুলশিক্ষা দফতর। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি ২৩৭ জন প্রার্থীর সংশোধিত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তা মেনে নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজও শুরু করেছে পর্ষদ। কিন্তু এ বার অভিযোগ উঠছে, সেই তালিকাও ভুল!
কলেজিয়াম অব এএইচএম-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘পর্ষদের ওয়েবসাইটে ২৩৭ জনের যে-তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এক ব্যক্তির নাম ছিল না। তা সত্ত্বেও তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি স্কুলে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এটা কী করে সম্ভব?’’ এই বিষয়ে জানতে চেয়ে পর্ষদের
সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তিনি জবাব দেননি টেক্সট মেসেজেরও। নিয়োগপত্রে যে-স্কুলের নাম রয়েছে, সেখানকার সহকারী প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমি স্কুলে ছিলাম না। ওই ব্যক্তি ফোন করে জানিয়েছেন যে, তাঁর কাছে নিয়োগপত্র রয়েছে। আমি তা এখনও যাচাই করিনি।’’ বক্তব্য জানতে নিয়োগপত্র পাওয়া ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি।