সিবিআই তদন্তের দাবিতে দাড়িভিট হাইস্কুলের গেটে ধর্নাতেই বসেছিলেন রাজেশ ও তাপসের মা। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুলের দরজা আগলে এখনও বসে রয়েছেন নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের মায়েরা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ সত্ত্বেও সেই দরজা পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি স্কুলের কোনও শিক্ষক। তবে দুই মায়ের কাছে এ দিন পৌঁছে গেলেন বিজেপি তফসিলি মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি বিনোদ শঙ্কর। একই সঙ্গে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দাড়িভিটে আজ, বুধবার দিল্লি থেকে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যদিও ইসলামপুরের মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্রের দাবি, সরকারিস্তরে এমন কোনও তথ্য তাঁদের কাছে আসেনি।
তাপস এবং রাজেশের পরিবার তফসিলি জাতিভুক্ত। সে জন্য তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিনোদ, জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তাঁর সঙ্গী ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবশ্রী চৌধুরী এবং দলের রাজ্য ও স্থানীয় নেতারা। তাঁদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাপসের মা মঞ্জু বর্মণ এবং রাজেশের মা ঝর্ণা সরকার। পরে দু’জনে বলেন, ‘‘আমাদের ছেলে গুলিতে মারা গিয়েছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিলে আমরা স্কুল খুলতে দেব না। প্রয়োজনে আমরণ আন্দোলন করব।’’
বিনোদ শঙ্কর বলেন, ‘‘আমি ওঁদের আন্দোলন এবং সিবিআই তদন্তের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছি। রাজ্যের পরিস্থিতির কথা কেন্দ্রকে লিখিত জানাব।’’ এই পরিস্থিতিতে স্কুল কবে খুলবে, তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। স্কুল পরিচালন কমিটির কাছেও এর কোনও সদুত্তর নেই। পরিচালন কমিটির অন্যতম সদস্য রিজুয়ান আলম বলেন, ‘‘স্কুল না খুললে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি বাড়বে। ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দেখা যাক কী হয়!’’ ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘জেলা শিক্ষা দফতরে স্কুল খোলানোর নির্দেশ এসেছে।’’
সরকারি সূত্রেরও খবর, ওই নির্দেশ মেলার পরে স্কুল খোলানোর জন্য প্রাথমিক ভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু, পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে স্কুলে যেতে কেউই রাজি হননি। বরং, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় সমস্যা মেটানোয় সকলে জোর দিয়েছেন। উত্তর দিনাজপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা স্কুল পরিদর্শক
সুজিতকুমার মাইতি অবশ্য এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।