অপেক্ষাই সার, কংগ্রেসে কি শেষ রজনী শঙ্করের

কিন্তু এলেন না শঙ্কর সিংহ। তা হলে কি চলেই যাচ্ছেন? বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার আজ, বুধবারই তৃণমূলে নাম লেখানোর গুঞ্জন আরও জোরালো হল বিধানসভায় তাঁর সই করতে না আসায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ০৩:৩০
Share:

মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ফুরনোর কথা বিকাল ৩টেয়। বেলা প্রায় সওয়া দু’টো পর্যন্ত বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের ঘরে কাগজপত্র নিয়ে অপেক্ষায় সবাই! যদি তিনি এসে সইটা করেন এবং মনোনয়ন জমা পড়ে তাঁর নামে।

Advertisement

কিন্তু এলেন না শঙ্কর সিংহ। তা হলে কি চলেই যাচ্ছেন? বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার আজ, বুধবারই তৃণমূলে নাম লেখানোর গুঞ্জন আরও জোরালো হল বিধানসভায় তাঁর সই করতে না আসায়। শুধু গরহাজিরাই নয়, কংগ্রেস পরিষদীয় নেতৃত্বের বারংবার আবেদনে কোনও সাড়াই মেলেনি রানাঘাটের অন্যতম বিধায়কের তরফে। আর তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, বুধবারই শঙ্করের জোড়াফুলে যোগদান প্রায় নিশ্চিত।

এক বছরের মাথায় বিধানসভায় নানা কমিটির প্রথামাফিক রদবদল হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি শঙ্করবাবুর ক্ষোভ এবং তৃণমূলে তাঁর চলে যাওয়া সম্ভাবনা নিয়ে যে হেতু বেশ কিছু দিন ধরেই চর্চা বিস্তর, এ বার পরিকল্পনা ছিল পাবলিক অ্যাকউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদের জন্য তাঁর নামে প্রস্তাব স্পিকারের কাছে পাঠানোর। মনোনয়নের কাগজে শঙ্করবাবুকে সই করানোর জন্যই মঙ্গলবার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। শেষমেশ তাঁর দেখা না পেয়ে উত্তরবঙ্গের দুই বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত ও শঙ্কর মালাকারের নাম পিএসি-র জন্য পাঠিয়েছে কংগ্রেস। তাঁরা দু’জন ছাড়াও সুখবিলাস বর্মা ও অসিত মিত্রের নামেও মনোনয়ন জমা পড়েছে। পিএসি-র চেয়ারম্যান কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। তৃণমূলের একটি সূত্রে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, যত দিন না রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়ে মানস ভুঁইয়া বিধায়ক-পদে ইস্তফা দিচ্ছেন, পিএসি-র চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁর মেয়াদই সাময়িক বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।

Advertisement

কংগ্রেসের দেওয়া পিএসি পদের প্রস্তাবে শঙ্করবাবু আদৌ উৎসাহিত ছিলেন কি না, তা নিয়ে এ দিন রাত পর্যন্ত তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। কংগ্রেস নেতারাও ফোনে তাঁর নাগাল পাননি। শঙ্করবাবু বিধায়ক আবাসে এসেছেন শুনে শনিবার রাতে শেওড়াফুলির বাড়ি থেকে তড়িঘ়ড়ি কিড স্ট্রিটে দৌড়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু ফিরে আসতে হয়েছে শূন্য হাতে! তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, কংগ্রেসের মায়া শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে আজ, বুধবারই যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে শাসক দলের পতাকা নিতে পারেন শঙ্করবাবু। সঙ্গে শান্তিপুরের তরুণ বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যও। ঘটনাচক্রে, আজই বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাওয়ার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। কংগ্রেসের এক বিধায়কের কথায়, ‘‘যে শঙ্কর সিংহকে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী করার ঘোষণা করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন, তিনিই যদি মমতার দলে যেতে চান, কে আটকাবে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন