বাজেট পেশ হলেও আপাতত বিধানসভায় কোনও বাজেট বিতর্ক হবে না। পরে দফাওয়াড়ি বাজেট আলোচনার সময় এই দুটি বিষয়ে বিতর্ক বা আলোচনার কথা ভাবা হচ্ছে।
রাজ্যপাল সূচনা ভাষণ দেবেন ১ ফেব্রুয়ারি। বাজেট পেস হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পরিষদীয় প্রথা ভেঙে তা নিয়ে বিতর্ক পিছিয়ে দিতে চাইছে সরকারপক্ষ। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের সূচি কাটছাঁট করার যে ভাবনা রয়েছে তাতে তা খুবই সংক্ষিপ্ত হতে চলেছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুক্রবার পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘পরিষদীয় নিয়ম মেনে এ সব নিয়ে বিধানসভার সংশ্লিষ্ট কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে। সেখানেই কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে।’’ বিরোধীরা অবশ্য সরকারপক্ষের এই ভাবনায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই দেখছে। বিরোধীদল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে সরকার বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দিতে চাইছে না। যদি এটা হয়, বুঝতে হবে সরকার ভয় পাচ্ছে।’’ একই মত বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীর। তাঁর কথায়, ‘‘এমনিতেই বিধানসভায় বিরোধীদের আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয় না। এরকম হলে বাজেট বিতর্কেও সময় কেড়ে নেওয়া চেষ্টা হচ্ছে।’’
সরকার পক্ষের প্রাথমিক এই ভাবনা অনুযায়ী ৫ তারিখ শোকজ্ঞাপনের কর্মসূচির কথা ভাবা হয়েছে।