পুরসভার মঞ্চে নাটকের ‘হাব’

হওয়ার কথা ছিল একটি রেপার্টরি। নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। পাইকপাড়ার মোহিত মৈত্র মঞ্চটিকে ঘিরে এখন একটি থিয়েটার হাব গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু। প্রয়াস সফল হলে আগামী দিনে আলো দেখতে পারে রেপার্টরিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৭ ০৩:৪২
Share:

হওয়ার কথা ছিল একটি রেপার্টরি। নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। পাইকপাড়ার মোহিত মৈত্র মঞ্চটিকে ঘিরে এখন একটি থিয়েটার হাব গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু। প্রয়াস সফল হলে আগামী দিনে আলো দেখতে পারে রেপার্টরিও।

Advertisement

মোহিত মৈত্রমঞ্চটি কলকাতা পুরসভার অধীন। ২০০৫ সালে তৎকালীন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের তৎপরতায় মঞ্চটি সম্পূর্ণ করার কাজ শুরু হয়। রাজ্যে পালাবদলের পরে ঠিক হয়েছিল মিনার্ভা মঞ্চকে ঘিরে যেমন রেপার্টরি রয়েছে, মোহিত মৈত্র মঞ্চেও বিনোদিনীর নামে একটি রেপার্টরি হবে। ব্রাত্য বসু এবং অর্পিতা ঘোষের নেতৃত্বাধীন নাট্যস্বজন সংস্থা তার বরাতও পায়। কিন্তু নাট্যস্বজনে ভাঙন এবং তার পরে নানাবিধ জটিলতায় সে আর হয়নি।

কিন্তু মঞ্চটি যাতে পড়ে না থাকে, তার জন্য উদ্যোগী হন ব্রাত্যই। গত বছর ব্রাত্যরই পরিচালনায় অদ্য শেষ রজনী দিয়ে মঞ্চটির যাত্রা শুরু। নাটকটির প্রযোজক পাইকপাড়া ইন্দ্ররঙ্গের কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, গত বছর চার মাস মোহিত মঞ্চে অদ্য শেষ রজনীর শো হয়েছিল। হাজার পাঁচেক মানুষ ওই মঞ্চে নাটকটি দেখেন। এ বছর মার্চ থেকে ছ’মাসের জন্য মঞ্চটি ভাড়া নিয়েছে চারটি দল। ইন্দ্রজিতরা ব্রাত্যর পরিচালনায় করছেন ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’। সঙ্গে থাকছে থিয়েটার প্ল্যাটফর্মের ‘হৃদি পাশ’, ইফটা-র ‘ফোর্থ বেল’ আর নৈহাটি ব্রাত্যজনের ‘একুশ গ্রাম’। চার রবিবারে চার নাটক।

Advertisement

বাংলা গ্রুপ থিয়েটারের ইতিহাসে এমন কিছু কিছু চেষ্টা আগেও হয়েছে। এক সময় শৌভনিকের নেতৃত্বে মুক্তাঙ্গন বা সায়কের নেতৃত্বে বিজন থিয়েটার মঞ্চ হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছিল। হালে কৌশিক-সুমন মুখোপাধ্যায়-বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় মিলে জ্ঞান মঞ্চকে ঘিরে নাট্যচর্চার একটি নিয়মিত নতুন ঠিকানা গড়ে তোলায় উদ্যোগী হয়েছিলেন।

মোহিত মৈত্র মঞ্চের বিশেষত্ব হল, এটি পুরসভার অধীন। কোনও সরকারি প্রেক্ষাগৃহকে কেন্দ্র করে এ ভাবে থিয়েটার হাব করার চেষ্টা আগে তেমন হয়নি। উত্তর কলকাতার সাবেক থিয়েটার পাড়া অনেক দিনই অস্তমিত। মিনার্ভা আর গিরিশ মঞ্চ ছাড়া নাটকের চালু মঞ্চ উত্তরে সে ভাবে আর নেই বললেই চলে। মেট্রো এবং রেললাইনের কাছাকাছি থাকা মোহিত মৈত্র সে দিক থেকে একটি জরুরি সংযোজন।

রেপার্টরি কবে হবে? ব্রাত্য বললেন, ‘‘রেপার্টরির চিন্তা মাথায় আছে। কারণ নাটকে কর্মসংস্থানের দরজা খুলে দেওয়াই আমার লক্ষ্য।’’ আপাতত ছ’মাস চারটি দল নিয়মিত নাটক করবে। সব ঠিকঠাক চললে দলগুলি একত্র হয়ে একটি ট্রাস্টি তৈরি করে রেপার্টরির পথে হাঁটবে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ব্রাত্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement