চার দশকের স্বপ্নপূরণ, সাজছে জলপাইগুড়ি

জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে বক্তব্য, হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনে সব মিলিয়ে শ’খানেক ভিআইপি উপস্থিত থাকতে পারেন বলে এখন পর্যন্ত ঠিক রয়েছে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৩
Share:

প্রস্তুতি-বৈঠক: প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক মন্ত্রীর। নিজস্ব চিত্র

প্রোটোকল অনুযায়ী মঞ্চে থাকবেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা ছাড়াও বিধানসভার স্পিকার, রাজ্যের মন্ত্রী, সচিব, অন্য বিচারপতিরাও যোগ দেবেন অনুষ্ঠানে।

Advertisement

জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে বক্তব্য, হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনে সব মিলিয়ে শ’খানেক ভিআইপি উপস্থিত থাকতে পারেন বলে এখন পর্যন্ত ঠিক রয়েছে। হাতে আর মাত্র তিন দিন। তার আগে এই সংক্রান্ত সব কাজকর্ম গুছিয়ে তুলতে এখন বাড়তি সময় খাটাখাটনি চলছে জলপাইগুড়ি প্রশাসনে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডারের সভা থেকে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পরপরই কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে ৯ মার্চ ‘আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের’ কথা ঘোষণা করা হয়। জেলা প্রশাসনের খবর, হাইকোর্ট সূত্রে তাদের জানানো হয়েছিল, এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে প্রোটোকল অনুযায়ী এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অভ্যাগতদের যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে কোনও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির নাম নেই। যদিও শহর জুড়ে ফ্লেক্স লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। সেখানে সার্কিট বেঞ্চের জন্য ধন্যবাদ জানানো হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, নিজের কোষাগার থেকে টাকা খরচ করে যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

আম-জলপাইগুড়িবাসী অবশ্য এই টানাপড়েনের বাইরে গিয়ে ব্যস্ত উদ্বোধনের জাঁকজমক নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, চার দশকের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী আদালত ভবনের পাশে রেলের জমিতে হচ্ছে উদ্বোধন মঞ্চ। কে কোথায় থাকবেন, তা ঠিক করতে মঙ্গল ও বুধবার জেলা প্রশাসনের বৈঠক হচ্ছে। রাজ্যের সিকিউরিটি ডিরেক্টরেটের অফিসারেরাও সেই বৈঠকে থাকছেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় শব্দবিধি মানতেও কড়া নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা। তাই ঘেরাটোপ তৈরি করে অস্থায়ী

অডিটোরিয়ামের চেহারা দেওয়া হচ্ছে অনুষ্ঠানস্থলকে। বাইরে শব্দ যাওয়া তো দূরের কথা, ভিতরেও শব্দ ৬০ ডেসিবেলের কম রাখার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমজনতাকে দেখার সুযোগ করে দিতে শহর জুড়ে ত্রিশটি বড় স্ক্রিনে অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা থাকছে।

বেঞ্চের আওতায় থাকা জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের জেলা আদালতগুলিতেও বড় স্ক্রিনে সরাসরি অনুষ্ঠান দেখানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন