Jawhar Sircar

Jawhar Sircar: সংসদে বাঙালিয়ানা নিয়ে হাজির জহর, ধুতি-পাঞ্জাবি পরে বাংলায় শপথ

২০০৯ সালে মমতা-মুকুল-শিশির সংসদে বাঙালি বেশে শপথ নেন। সেই ধারাই বজায় রাখলেন জহর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২১ ১২:০৮
Share:

ধুতি-পাঞ্জাবি পরে শপথ নিচ্ছেন জহর।

বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে প্রবেশ। সেখান একটুকরো বাংলাই তুলে নিয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। বুধবার ধুতি-পাঞ্জাবি পরে, পুরোদস্তুর বাঙালি বেশে রাজ্যসভায় শপথ নিলেন তিনি। এমনকি শপথবাক্যও পাঠ করেন বাংলায়। টেবিল বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান সতীর্থ সাংসদরা।

Advertisement

প্রাক্তন প্রসার ভারতী অধিকর্তা জহর সরকার নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের ঘোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। তা নিয়ে কোনও রাখঢাকও করেন না। তাই সংসদে সরকার বিরোধী অবস্থান আরও দৃঢ় করতে ভেবেচিন্তেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

ধুতি-পাঞ্জাবি পরে, ঝরঝরে বাংলায় শপথ নেওয়ার পিছনেও বাংলাকে আলাদা করে তুলে ধরার প্রচেষ্টা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ রাজ্যের বিরোধী নেত্রী থেকে ২০০৯ সালে রেলমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া মমতা এবং তাঁরই সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া মুকুল রায়, শিশির অধিকারীরাও বাঙালি বেশেই সংসদে হাজির হয়েছিলেন। হালফিলে মমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানকেও বাংলায় শপথ নিয়ে, পা ছুঁয়ে স্পিকারকে প্রণাম করতে দেখা যায়। জহরও বাঙালিয়ানার সেই ধারা বজায় রাখলেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনটিতেই জহরকে মনোনীত করেন মমতা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন তিনি। তাক পর সোমবারই দিল্লি চলে যান। শপথগ্রহণের দিন বাঙালিয়ানা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত সেখানেই ঠিক হয় বলে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন