ডাকাতির পর ঘটনাস্থল।
ভরসন্ধ্যায় থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বের সোনার দোকানে হামলা চালাল একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত দোকানের মালিক এবং দুই কর্মচারী। লুঠ হওয়া গয়নার সঠিক পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন একটি দোকানে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকা এসে দোকানের সামনে দু’টি বোমা ছোড়ে জনা আটেক দুষ্কৃতীর একটি দল। আশপাশ থেকে পালিয়ে যান অনেকে। এই অবস্থায় দোকানে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। দোকান মালিক ও দুই কর্মচারী বাধা দিতে গেলে, তাঁদের আক্রমণ করে তারা।
আরও পড়ুন: গোঘাটে আক্রান্ত বিকাশ ভট্টাচার্য, গাড়ি থেকে নামিয়ে কটূক্তি ও মারধর
পরে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত
স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক জন মিলে মালিক দীপক দেবনাথকে মারতে মারতে বাইরে নিয়ে আসে। তার পর চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ইতিমধ্যে ভিতরের কর্মচারী সুব্রত মণ্ডল ও দীপঙ্কর রায়চৌধুরীকে গুলি করে বাকি দুষ্কৃতীরা। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে ভর সন্ধে বেলায় এ ভাবেই গয়না লুঠ করে দুষ্কৃতীরা।
খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই এসে পৌঁছয় পুলিশ। তত ক্ষণে একাধিক বোমা ছুড়তে ছুড়তে রেললাইন টপকে পালায় দুষ্কৃতীদল। তাদের সঙ্গে কোনও মোটরবাইক বা গাড়ি ছিল না। আহত তিন জনকে বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
ঘটনার পরে অনেক ক্ষণ তাজা রক্ত পড়েছিল দোকানের সামনে। রোললাইনে বোমা পড়েছিল বলে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচলও। ভরসন্ধেয় থানার সামনে এমন ঘটনা কী করে ঘটল, সেই দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বহু দিন ধরে পরিকল্পনা করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মালিকের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এমনটা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। সংগ্রহ করা হয়েছে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ।
(ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল)