পয়গম্বর শেখ ও জামিরুল শেখ
বুদ্ধগয়ায় দলাই লামার পরিভ্রমণের সময়ে তারা বিস্ফোরণ ঘটাতে চেয়েছিল বলে আগেই কবুল করেছে জঙ্গি সন্দেহে ধৃত দুই যুবক।
রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে তারা কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বৌদ্ধ ধর্মস্থানগুলিকেও নিশানা করছিল বলে জানতে পেরেছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। বুধবার ধৃত দুই যুবক পয়গম্বর শেখ ও জামিরুল শেখকে জেরা করেই তাঁরা জেনেছেন, বিশেষ করে বাংলার বৌদ্ধ ধর্মস্থানে হানা দেওয়াই নব্য জেএমবি-র উদ্দেশ্য। গোয়েন্দাদের কাছে ওই দুই যুবক কবুল করেছে, তারা নব্য জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ)।
এসটিএফ সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষত উত্তরবঙ্গ ও অন্যান্য জেলায় ইতিমধ্যেই সংগঠন গড়ে ফেলেছে জেএমবি। সেই সূত্র ধরে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে পয়গম্বরের এক পরিচিতের বা়ড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এসটিএফ যে-সব জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে, তাতে স্পষ্ট, এ রাজ্যে নব্য জেএমবি বেশ মজবুত সংগঠন তৈরি করেছে।
শুক্রবার ধুলিয়ানের একটি বাড়ি থেকে ৫০ কিলোগ্রাম জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, ৩-৪ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ব্যবহৃত-অব্যবহৃত বোমার সকেট এবং টিফিন বাক্স উদ্ধার করছে। বুদ্ধগয়ার বিস্ফোরণে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের সঙ্গে ওই সব সামগ্রীর মিল পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
বাড়িটি ধৃত পয়গম্বরের পরিচিত
এক ব্যক্তির। তল্লাশির আগেই সে পালিয়ে গিয়েছে।
ডিসি (এসটিএফ) মুরলীধর শর্মা জানান, নব্য জেএমবি-র প্রধান সালাউদ্দিন সালাহ ও কৌশর ওরফে বোমান মিরান যে ৬-৭ মাস আগে মুর্শিদাবাদে এসেছিল, তার প্রমাণ মিলেছে। এ রাজ্যে নিজেদের ঘাঁটি মজবুত করার জন্য এলাকার তরুণদের মগজধোলাই করতেই তারা এসেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার পরেই মুর্শিদাবাদে বেশ
কয়েকটি মডিউল গড়ে তোলে জেএমবি। তার মধ্যে ৬-৭টি মডিউলের খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এসটিএফ জানাচ্ছে, এক-একটি মডিউলে ১৮ থেকে ৩১ বছর বয়সি ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে। অন্যান্য জেলাতেও নব্য জেএমবি ইতিমধ্যে এই ধরনের মডিউল তৈরি করেছে কি না, গোয়েন্দারা তা খতিয়ে দেখছেন।