বেহুঁশ পুলিশকর্মীকে উদ্ধারে এগিয়ে এলেন সাংবাদিক। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
মাঝে শুধু এক সপ্তাহের ব্যবধান। আক্রান্ত সাংবাদিকরাই হয়ে উঠলেন পুলিশের পরিত্রাতা!
সপ্তাহখানেক আগে কলকাতার রাজপথে পুলিশের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন যে সাংবাদিকরা, বৃহস্পতিবার তাঁরাই উদ্ধার করলেন এক আক্রান্ত পুলিশকর্মীকে। বিজেপি’র মিছিলের একাংশের হাতে নিগৃহীত হয়ে বেহুঁশ এক পুলিশকর্মীকে এ দিন উদ্ধার করেন দু’জন সাংবাদিক। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের এক সাংবাদিক সুকান্ত মুখোপাধ্যায় এবং একটি ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিক তমোঘ্ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিজেপি’র লালবাজার অভিযানের সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের হাতে আক্রান্ত হন কলকাতা পুলিশের এক কর্মী। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের ভিক্টোরিয়া হাউসের পাশ দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময় পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি করেন বিজেপি’র কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। পুলিশও পাল্টা লাঠি চালায়। পুলিশের লাঠি এড়াতে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের রাস্তা দিয়ে দৌড়তে থাকেন মিছিলে আসা কিছু মানুষ। তাঁদের পিছু নেন পুলিশকর্মীরা। সেই সময় একা হয়ে পড়েন ওই পুলিশকর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক লাথি-ঘুষি মারতে শুরু করেন মিছিলে আসা কিছু মানুষ। তার জেরে রাস্তাতেই বেহুঁশ হয়ে পড়েন সেই পুলিশকর্মী। ওই সময় বেহুঁশ হয়ে পড়া ওই পুলিশকর্মীর উদ্ধারে এগিয়ে আসেন মিছিলের খবর করতে আসা দুই সাংবাদিক সুকান্ত ও তমোঘ্ন। তাঁরাই ওই পুলিশকর্মীকে টেনে তুলে তাঁকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান।
আরও পড়ুন
বোমা, আগুন, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামানে রণক্ষেত্র কলকাতা
বাম ছকেই বিজেপির অভিযান, আজও রণক্ষেত্র হল রাজপথ
গত সপ্তাহে পার্ক স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগার খবর করতে গিয়ে শহরের পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, এ দিন সেই পুলিশেরই এক কর্মীকে আক্রান্ত হতে দেখেও পিছিয়ে আসেননি তিনি। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন একাধিক সাংবাদিক-আলোকচিত্রী। পুলিশের লাঠির ঘায়ে সে দিন রক্ত ঝরে বহু সাংবাদিকের। কারও হাত-পা ছড়ে যায়। কারও-বা মাথা ফেটে যায়। অনেকেই বেহুঁশ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।