ছাত্রস্বার্থে টাকা ছাড়াই পড়াবেন শিক্ষক

পুনর্নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক-সংঘাতের মধ্যেই ছাত্রস্বার্থে সরব হলেন কোনও কোনও শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনর্নিয়োগ রদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেখানে তোলপাড় সব চেয়ে বেশি, সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক অবসরের পরে বিনা পারিশ্রমিকেই পড়িয়ে যেতে চান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৩৮
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

পুনর্নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক-সংঘাতের মধ্যেই ছাত্রস্বার্থে সরব হলেন কোনও কোনও শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনর্নিয়োগ রদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেখানে তোলপাড় সব চেয়ে বেশি, সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক অবসরের পরে বিনা পারিশ্রমিকেই পড়িয়ে যেতে চান। সেখানকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ত্রিদিব চক্রবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিষয়টি তিনি বোর্ড অব স্টাডিজের পরবর্তী বৈঠকে তুলবেন।

Advertisement

পুনর্নিয়োগ বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেও যাদবপুর তাদের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত তিন শিক্ষককে রেখে দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, এ ভাবে পুনর্নিয়োগের কোনও সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না। সরকারের তরফে যাদবপুর-কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ক্লাস-পিছু সম্মান-দক্ষিণা দিয়ে অতিথি শিক্ষক হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের রাখা যেতে পারে। কিন্তু পুনর্নিয়োগ কোনও মতেই নয়। এই প্রেক্ষিতে ত্রিদিববাবু জানান, অতিথি শিক্ষক হিসেবে এ ভাবে পারিশ্রমিক নিতে রাজি নন তিনি।

৩১ ডিসেম্বর ত্রিদিববাবুর অবসর নেওয়ার কথা। ১ জানুয়ারি থেকে তাঁর পুনর্নিয়োগে অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু পুনর্নিয়োগ রদের সরকারি নির্দেশ আসার পরে তাঁর পুনর্নিয়োগের বিষয়টিও বাতিল হয়ে গিয়েছে। বুধবার ত্রিদিববাবু বলেন, ‘‘এই ভাবে (ক্লাস-পিছু) টাকা নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কর্তৃপক্ষকে জানাব, ছাত্রস্বার্থে বিনা বেতনেই পড়াব।’’ ওই শিক্ষক জানান, তাঁর দু’জন এমফিল ছাত্র আছেন। রয়েছেন চার জন পিএইচডি প্রার্থীর গাইডও। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নিয়ে পড়ান তিনি। তাই ছাত্রস্বার্থে আগামী সেমেস্টারে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা প্রয়োজন।

Advertisement

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অমিত ভট্টাচার্যের পুনর্নিয়োগ নবীকরণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকারি নির্দেশে তা এখন বাতিল। অমিতবাবুও অতিথি শিক্ষক হিসেবে থাকতে চান না। ‘‘অতিথি শিক্ষক তো বাইরে থেকে আসেন। আমি যাদবপুরে ভিতরের মানুষ। তাই এ ভাবে কখনও পড়াতে পারব না,’’ বলেছেন অমিতবাবু।

অতিথি শিক্ষক নিয়ে সরকার যে-নির্দেশ দিয়েছে, যাদবপুর-কর্তৃপক্ষ এখন তার রূপায়ণে ব্যস্ত। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘সরকারের নতুন নির্দেশ কী ভাবে চালু হবে, তা ঠিক করতে হবে আলোচনার ভিত্তিতেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement