নানা আদালত ঘুরে শেষ পর্যন্ত দু’বছর পরে বাড়ি ফিরতে পারছেন কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রে গত বারের কংগ্রেস প্রার্থী রফিকউদ্দিন মোল্লা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবুজার মোল্লার খুনের ঘটনায় নাম জড়়িয়ে জেলে যাওয়ার পরে জামিন পেয়েছিলেন রফিকউদ্দিন। যদিও হাইকোর্টে জামিনের শর্ত ছিল, কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকায় ঢুকতে পারবেন না তিনি। গড়িয়ায় একটি আস্তানায় থেকে এবং সোনারপুর থানায় নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আইনি লড়াই চালিয়েছেন তিনি। জামিন খারিজের আর্জি জানিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলেও তাতে লাভ হয়নি। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পরে রফিকউদ্দিন ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাড়ি ফেরার অনুমতি চেয়ে। হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি রবি কৃষণ কপূরের বেঞ্চ তাঁর আর্জি মঞ্জুর করেছে। রায়ের প্রতিলিপি হাতে পেয়ে আজ, শুক্রবার কাকদ্বীপ ফিরছেন কংগ্রেস প্রার্থী।
রায়ের প্রতিলিপি নিয়ে বৃহস্পতিবার রফিকউদ্দিন বিধানসভায় এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে। বিধানসভায় সিপিএমের সমর্থনেই কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে খুনের মামলা চলছে। আদালতের উপরে আমার আস্থা আছে। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব।’’ কংগ্রেস ও সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, প্রতিহিংসার জেরে রফিকউদ্দিনকে মামলায় ‘ফাঁসানো’ হয়েছিল। সুজনবাবু বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় বাকিদের জামিনের জন্যও আমরা হাইকোর্টে আবেদন করব।’’ কংগ্রেসের সচেতক মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘আমাদের বহু নেতা-কর্মীকেই মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। রফিকউদ্দিনের লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।’’