কালীগঞ্জে বোমার আঘাতে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান চার অভিযুক্ত গ্রেফতার। —ফাইল চিত্র।
নদিয়ার কালীগঞ্জে বোমার আঘাতে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় চার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানিয়ে দিল পুলিশ। কৃষ্ণনগর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার তরফে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, কালীগঞ্জে বোমার আঘাতে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার চার জন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন আদর শেখ, মানোয়ার শেখ, কালু শেখ এবং আনওয়ার শেখ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে হাজির করানো হবে।
সোমবার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের গণনা হয়। গণনা শেষ হওয়ার আগেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ বিপুল ভোটে জয়ী হতে চলেছেন। বিজয়মিছিল বার করেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ, একটি বিজয়মিছিল থেকে বোমা ছোড়া হয় সিপিএম কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে। সকেট বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় বছর দশেকের তামান্না খাতুনের। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকা বড় চাঁদঘর পঞ্চায়েতের মোলান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
মৃতার মা সাবিনা ইয়াসমিন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমি দেখেছি কারা বোমা ছুড়েছে। আমরা সিপিএম করি। ওদের নাম না-জানলেও সকলের মুখ চেনা, সবাই তৃণমূল করে।’’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছে। বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূল রক্তপাত ছাড়া ভোটে জিততে পারে না!
সোমবার বিকেলেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে এই ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন কালীগঞ্জে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী আলিফা। তিনিও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলেন। সোমবার কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানিয়েছিলেন, এই এলাকায় ২০২৩ সাল থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্ব থেকে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত ও ফরেন্সিক রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানান তিনি।