Abhijit Gangopadhyay

অভিজিতের বিজেপিতে যোগ কল্যাণ-সওয়ালেও

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে কল্যাণের মূল নিশানা ছিল, বিজেপি এবং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগসূত্রের তত্ত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:০৩
Share:

সল্টলেকের বিজেপি দফতরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: স্নেহাশিষ ভট্টাচার্য।

স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ বার প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগদানের সূত্র ধরে সওয়াল করলেন বিতর্কিত ভাবে নিযুক্তদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে কল্যাণের মূল নিশানা ছিল, বিজেপি এবং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগসূত্রের তত্ত্ব। বুধবারই এই সূত্র ধরে একটি আবেদন জমা পড়েছিল কোর্টে। তাতে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ নির্দেশের অভিযোগ করে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশই খারিজ করার আর্জি জানানো হয়েছিল। শুধু যোগসূত্রই নয়, সওয়াল পর্বে সমাজমাধ্যমের রসিকতাও কল্যাণের মুখে শোনা গিয়েছে।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিনই বিজেপির পতাকা হাতে নিয়েছেন অভিজিৎ। সন্ধ্যায় ‘এবিপি আনন্দ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, কোনও রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কোনও দিন কোনও রায় তিনি দেননি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগদান সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকেও তিনি জানান, ইস্তফা দিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চে আবির্ভাবের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন থেকে তিনি ছুটিতে গিয়েছিলেন এবং সেই পর্বে একটিও মামলার বিচার তিনি করেননি।

Advertisement

স্কুল নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তৎকালীন বিচারপতি পদে থাকা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই-ইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই তদন্তেই রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ধরা পড়েছেন। নিয়োগে প্রচুর অনিয়মের ঘটনাও সামনে এসেছে। যা স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের অস্বস্তির কারণ হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিচারপতি পদে থাকা অভিজিৎকে নিশানাও করেছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে গত রবিবার ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান অভিজিৎ। মঙ্গলবার তিনি ঘোষণা করেন, বিজেপিতে যোগ দেবেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাভাবিক ভাবেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। স্কুলে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী পদে বিতর্কিত ভাবে নিযুক্তদের আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের এ দিন সওয়ালে তাই কোনও পৃথক বিষয় খুঁজে পাননি আইনজীবীদের অনেকেই।

এ দিকে, গত কয়েক দিন ধরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত ব্যক্তিদের (যাঁরা সরকারি পদে ছিলেন) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জ গঠনের জন্য রাজ্য সরকার অনুমোদন দেবে কি না, তা জানতে চেয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু রাজ্য সরকার জবাব দেয়নি। এ দিন রাজ্যের কৌঁসুলি জানিয়েছেন যে, ১২ মার্চ নিম্ন আদালতে চার্জ গঠন সংক্রান্ত শুনানি রয়েছে। তার পরে ১৩ মার্চ তারা হাই কোর্টে নিজের বক্তব্য জানাবে। একইসঙ্গে এ দিন এসএসসি-ও কিছু তথ্য হাই কোর্টে পেশ করেছে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অন্যতম আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন পদে কত জনকে সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল তার বিস্তারিত তথ্য ওই রিপোর্টে এসএসসি জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন