Sandeshkhali Incident

‘হারিয়ে দেখাব’, আদালতের নির্দেশে জেল থেকে ছাড়া পেয়েই মমতাকে চ্যালেঞ্জ সন্দেশখালির মাম্পির

গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মাম্পি। গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবি করেছিলেন। শুক্রবার তাঁকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ১৬:৪০
Share:

মাম্পি দাস। শনিবার দুপুরে দমদম জেলের বাইরে। ছবি: সংগৃহীত।

অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলেছিল হাই কোর্ট। শুক্রবার উচ্চ আদালতের এই নির্দেশের পরদিনই দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাস। জেল থেকে বেরিয়েই হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ দেখে ছাড়ব। তাঁকে হারিয়ে দেখাব। এই লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন।”

Advertisement

গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মাম্পি। গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবি করেছিলেন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। বিচারপতি জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত বন্ডে মামলাকারীকে অবিলম্বে হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৫এ ধারায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা-ও স্থগিত থাকবে বলে জানান বিচারপতি।

শনিবার জেল থেকে বেরিয়েই মাম্পি দাবি করেন, সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের ঘটনা মিথ্যা নয়। সেখানে আন্দোলনকারী মহিলাদের পাশে থাকবেন বলেও জানান তিনি। রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে আমায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালতে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টকে অসংখ্য ধন্যবাদ।” তাঁর পাশে থাকার জন্য বিজেপিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাম্পি।

Advertisement

সন্দেশখালির ঘটনায় বহু অভিযোগে বার বার উঠে এসেছে মাম্পির নাম। তার মধ্যে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অসত্য মামলা রুজু করানোর মতো অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি, সন্দেশখালির এক গৃহবধূও সেই অভিযোগ করেন সন্দেশখালি থানায়। পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর গ্রেফতার হওয়া ভাইকে ছাড়ানোর শর্তে ধর্ষণের অসত্য অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন এই মাম্পি। পরে অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে বিজেপির তরফে তাঁকে শাসানোও হয়। মাম্পি ওরফে পিয়ালির নাম শোনা গিয়েছিল সন্দেশখালির ‘স্টিং’ ভিডিয়োতে, গঙ্গাধর কয়ালের মুখেও। (আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।)

একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের নোটিস পেয়ে গ্রেফতারি এড়াতে বসিরহাট আদালতে অগ্রিম জামিন চাইতে গিয়েছিলেন মাম্পি। সেখানে অন্য মামলা দিয়ে তাঁকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ। নিম্ন আদালত তাঁকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাই কোর্টে মামলা করেন মাম্পি। শুক্রবার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ জুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন