পাঠ্যবইয়ে রাজ্যের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প ঠাঁই পেয়েছে আগেই। তার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের শিরোপা পেয়েছে কন্যাশ্রী। সেই স্বীকৃতিকেও এ বার জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে স্কুলের পাঠ্যক্রমে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে আগে থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের উল্লেখ থাকলেও বিষয়টিতে বাড়তি মাত্রা যুক্ত হয়েছে গত শুক্রবার। জনপরিষেবায় অভিনবত্বের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছ থেকে সেরার সেরা শিরোপা পেয়েছে এই প্রকল্প। তাই আগামী শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন পাঠ্যবইয়ে এই স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করা হবে বলে জানান পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামী দিনে মানুষ যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান, কন্যাশ্রীর অবদান এবং সেই সঙ্গে এই প্রকল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা মনে রাখে, তাই তা স্কুলপাঠ্যে রাখা হবে।’’
পাঠ্যক্রম কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ব্যাকরণ, রচনা, স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা, পরিবেশ পরিচিতিতে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে পাওয়া শিরোপার বিষয়টি এ বার বিস্তারিত ভাবে তার অন্তর্ভুক্ত হবে। এ ছাড়া ইংরেজিতে ‘কন্যাশ্রী এবং তার সাফল্য’-এর বিষয়টি রাখা হবে রচনা হিসেবে।
এই সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা মহলের একাংশ। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘বাম জমানায় রাজ্য সরকার এই ধরনের নেক স্বীকৃতি পেয়েছিল। কিন্তু সেগুলোকে স্কুলের পাঠ্যক্রমে আনা হয়নি। কারণ, তখনকার সরকার এত প্রচারমুখী ছিল না।’’