khardah

কমিশনের টাকা, দাবি অমিতাভের

পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে অমিতাভ এ-ও জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি প্রায় ২৫ জনকে ভিন্‌ রাজ্যের বেসরকারি কলেজে ‘ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসি’ কোর্সে ভর্তি করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৪৯
Share:

খড়দহে উদ্ধার নগদ টাকা! প্রতীকী ছবি।

দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া ভর্তি বাবদ ৩২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন খড়দহের অমিতাভ দাস। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাঁর ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রের দাবি, টাকার উৎসের ব্যাপারে অমিতাভকে জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। তাতে তিনি জানিয়েছেন যে, বছর দশেক আগে তিনি রসায়নের কোচিং করাতেন। তখনই দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তার পরে পড়ুয়া ভর্তির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। সেই ব্যবসার টাকাই ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন। এই দাবি সত্যতা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কমিশনের কোনও বিল বা ভাউচার আছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে অমিতাভ এ-ও জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি প্রায় ২৫ জনকে ভিন্‌ রাজ্যের বেসরকারি কলেজে ‘ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসি’ কোর্সে ভর্তি করেছেন।তাঁদের থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন আদায় করে বাড়িতেই রেখেছিলেন। ডানলপ, হাবড়া, বারাসত, হুগলি ও হাওড়ায় অমিতাভর অফিসের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শনিবার ডানলপের অফিসে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। বাকি অফিসেও তদন্তকারীরা যাবেন বলে খবর।

এ দিন অমিতাভর খড়দহের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা যায়, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। পুলিশ জানিয়েছে, অমিতাভকে গ্রেফতার করা না-হলেও নগদ টাকা-সহ নথিপত্রের তালিকা (সিজার লিস্ট) এ দিন ব্যারাকপুর আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। টাকা উদ্ধারের বিষয়টি আয়কর দফতরেও জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমে বেশ কিছু পড়ুয়ার নামও জানতে পেরেছেন তদন্তকরীরা। তাঁদেরও তলব করছেন তদন্তকারীরা। টাকার উৎস এবং কমিশনের সত্যতা নিয়ে ওই পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কলেজে ভর্তির নামে কেউ প্রতারিত হয়েছেন কি না, তা-ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement