ক্ষিতি ফের রাজ্য সম্পাদক, গুরুত্ব বাড়ছে মহিলাদের

ফের আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক হলেন ক্ষিতি গোস্বামী। মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে ১০-১২ এপ্রিল, তিন দিন ধরে চলে রাজ্য সম্মেলন। ২০ তম ওই রাজ্য সম্মেলনে প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীকেই রাজ্য সম্পাদক পদে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নতুন রাজ্য সম্পাদক জানান, ৭৫ জনের রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে। তার মধ্যে ২৫ শতাংশ নতুন মুখ। তাঁদের বয়স চল্লিশোর্ধ্ব হলেও নতুন মুখ হিসেবে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৩
Share:

ফের আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক হলেন ক্ষিতি গোস্বামী। মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে ১০-১২ এপ্রিল, তিন দিন ধরে চলে রাজ্য সম্মেলন। ২০ তম ওই রাজ্য সম্মেলনে প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীকেই রাজ্য সম্পাদক পদে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

নতুন রাজ্য সম্পাদক জানান, ৭৫ জনের রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে। তার মধ্যে ২৫ শতাংশ নতুন মুখ। তাঁদের বয়স চল্লিশোর্ধ্ব হলেও নতুন মুখ হিসেবে কমিটিতে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিতে মহিলা সদস্য সংখ্যাও বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এখন সংগঠনে মহিলাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে লড়াকু নেত্রী ছায়া রায়কে জেলা সম্পাদক করা হয়েছে।’’ নতুন রাজ্য সম্পাদকের দাবি, ছায়াদেবী বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির মধ্যে প্রথম মহিলা জেলা সম্পাদক।

এ দিনের সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল ও বিজেপি নিজেদের মধ্যে ‘গাঁটছড়া’ বেঁধেছে বলে মন্তব্য করেন প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের যতই বিরোধিতা করুক, ভেতরে ভেতরে গাঁটছড়া বেঁধেছে। মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে।’’ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তিনি অভিযোগ করেন, “যিনি সততার প্রতীক, তিনি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। এখন তাঁকে অসততার প্রতীক বলা হচ্ছে।’’ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তৃণমূল নেত্রী আধা ফ্যাসিস্ট রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে ক্ষিতিবাবু মনে করেন। তাঁর কথায়, “পুরভোটে অশান্তি করতে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী ইতিমধ্যেই আক্রমণ শুরু হয়েছে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার এক কর্মীর বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। দোকান ভেঙে দিয়েছে। এর আগে কামারহাটিতে আক্রমণ হয়েছে।”

Advertisement

রাজ্য সম্মলনে বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ সব দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণেরও প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুর্শিদাবাদের আরএসপি নেতা প্রমথেশ মুখোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলির আধুনিকীকরণের দাবিও উঠে এসেছে। উত্তরবঙ্গে একের পর এক চা বাগান বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকদের নিয়ে মালিকদের টালবাহানা ও ছাঁটাই বন্ধ করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথাও আলোচনা হয়েছে। সম্মেলনে মুর্শিদাবাদের শ্যামলিমা সরকার, জলপাইগুড়ি ছায়া রায়, বালুরঘাটের সুচেতা বিশ্বাস নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে পথে নেমে প্রতিবাদের কথা বলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন