মাঝেমধ্যেই স্কুলের বন্ধুর পেন-পেন্সিল ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়ে চলে আসে বাবান। বাবার পকেট থেকে টাকাও চুরি করে সে। উদ্বিগ্ন, লজ্জিত বাবা-মা বুঝতে পারেন না, কী ভাবে ছেলেকে সামলাবেন।
পছন্দের জিনিস অন্য কারওথেকে চুপিসাড়ে নিয়ে নেওয়া বাচ্চাদের পক্ষে অস্বাভাবিক নয়, জানালেন শিশু মনস্তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ হিরণ্ময় সাহা। তাঁর কথায়, ‘‘ছোটরা বুঝতেই পারে না, ওটা চুরি করা, এবং খারাপ কাজ।’ বাবা-মায়ের জন্য রইল কিছু পরামর্শ।
যখনই বুঝবেন বাচ্চা চুরি করছে, ওকে বোঝান এটা অন্যায়। শাসন করুন, তবে বাড়াবাড়ি নয়।
সন্তানকে বোঝানোর সময় ওর সঙ্গে সমান হয়ে কথা বলুন। অভিভাবকের দূরত্ব রাখবেন না।
সন্তানের প্রতি আপনি যে নজর রাখছেন, তা ও যেন বুঝতে পারে। অন্যায় করলে ধরা পড়ব, এই বোধটা যেন জন্মায়।
টিনএজে নানা নেশা চেপে বসে। টাকার চাহিদা বাড়ে। এ সময় সন্তানের খুঁটিনাটিতেও নজর রাখা দরকার।
টিনএজে সন্তান যদি বন্ধুদের খাওয়াতে চায়, বা বেড়াতে যেতে চায়, সাধ্যমতো টাকা দিন। বেশি কড়াকড়ি থেকে চুরির প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
সাধ্যাতীত খরচ করবেন না। সব কিছু যে জন্মসূত্রে পাওয়া যায় না, অর্জন করতে হয়, সেটা অল্পবয়সে বোঝাটা জরুরি।
বাবা-মায়ের সম্পর্ক খারাপ হলেও অনেক সময় বাচ্চাদের মধ্যে চুরির প্রবণতা জন্মায়।
পরিবারের কারও চুরির অভ্যাস রয়েছে কিনা, নজর করুন। বাচ্চারা কিন্তু বাড়িতেই অনেক কু-অভ্যাস শেখে। প্রয়োজনে পরিবারের সংশ্লিষ্ট সদস্যের কাউন্সেলিং করান।
দে.ভ.