state News

ডিম কি প্লাস্টিকের? পরীক্ষা করতে পুরসভায় এল যন্ত্র

আসল না প্লাস্টিকের? বাজারে ডিম কিনতে গিয়ে ইদানীং এমন ধাঁধাঁয় রয়েছেন অধিকাংশ ক্রেতা। প্লাস্টিক ডিম নিয়ে রাজ্যের কোথাও ছড়িয়েছে আতঙ্ক, কোথাও বা বিভ্রান্তি। প্রশাসনের তরফেও শুরু হয়েছে ডিম-অভিযান। তবে প্লাস্টিক ডিম নিয়ে এই আতঙ্কের মাঝেই স্বস্তির খবর শোনাল কলকাতা পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ২০:১২
Share:

আসল না প্লাস্টিকের? বাজারে ডিম কিনতে গিয়ে ইদানীং এমন ধাঁধাঁয় রয়েছেন অধিকাংশ ক্রেতা। প্লাস্টিক ডিম নিয়ে রাজ্যের কোথাও ছড়িয়েছে আতঙ্ক, কোথাও বা বিভ্রান্তি। প্রশাসনের তরফেও শুরু হয়েছে ডিম-অভিযান। তবে প্লাস্টিক ডিম নিয়ে এই আতঙ্কের মাঝেই স্বস্তির খবর শোনাল কলকাতা পুরসভা। নকল ডিম পরীক্ষা করতে সোমবার পুরসভার ল্যাবরেটরিতে একটি যন্ত্র বসানো হয়েছে।

Advertisement

পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওই যন্ত্রটি আসলে প্রোটিন অ্যানালাইজার। পোশাকি নাম ‘পলিঅ্যাক্রিলামাইড জেল ইলেকট্রো ফেরেসিল’। সমস্ত আনুসঙ্গিক খরচ মিলিয়ে হাজার পঞ্চাশেক টাকায় ওই যন্ত্রটি কিনেছে পুরসভার খাদ্যসুরক্ষা দফতর। কী কী পরীক্ষা করা যাবে তাতে? পুরসভার এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ডিমের খোলা, কুসুম ও সাদা অংশ— এই তিনটিই পরীক্ষা করা যাবে ওই যন্ত্র দিয়ে।

আরও পড়ুন

Advertisement

‘ছিন্নবিচ্ছিন্ন মাথা জুড়তে হয়েছিল, ওসামাকে চিনতে’

ডিম পরীক্ষা করতে এই যন্ত্রই কিনেছে পুরসভা। —নিজস্ব চিত্র।

প্লাস্টিক ডিম নিয়ে গত মাসেই অনিতা কুমার নামে এক ক্রেতা অভিযোগ করেছিলেন। নকল ডিম বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকানোর অভিযোগের ভিত্তিতে পার্ক সার্কাসের এক ব্যবসায়ী শামিম আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্লাস্টিক ডিম খুঁজতে এর পর বিভিন্ন বাজারে অভিযানও চালায় পুরসভা। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা রাজ্যেই। রাজ্যের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের আশ্বাসেও আতঙ্ক কমতে দেখা দেয়নি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও জায়গা করে নেয় প্লাস্টিক ডিমের চর্চা। তবে পুর-অভিযানে যে সমস্ত ডিম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল তা ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে পরীক্ষা করতেই কেটে যেত অনেকটা সময়। সে সময়েই পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্লাস্টিক ডিমের পরীক্ষা করতে নিজস্ব যন্ত্র কেনা হবে। এ দিন সে যন্ত্রই এল পুরসভার ঘরে।

আরও পড়ুন

‘র‌্যাঞ্চো’র ভূমিকায় বিপিন, ট্রেনেই প্রসব করাতে সাহায্য মেডিক্যাল ছাত্রের

প্লাস্টিক ডিমের অস্তিত্ব নেই বলে পুরসভা কিছু দিন আগেই রিপোর্ট দিয়েছিল। তবে কেন এত টাকা খরচ করে এই যন্ত্র কেনা হয়েছে? স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রশ্ন। এর উত্তরে পুরসভার এক শীর্ষকর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, প্রথমত, ওই রিপোর্ট হাতে আসার আগেই এই যন্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র ডিম নয়, যে কোনও খাদ্যে ভেজালের অভিযোগ মিললেই এই যন্ত্র দিয়ে তা পরীক্ষা করা যাবে। সে জন্য পুরসভাকে অন্য কোনও সংস্থার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।

দেখুন সেই যন্ত্রের ভিডিও

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement