মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন ফেরিঘাটে এবং সেখান থেকে পারাপার করা নৌকায়। এই অবস্থায় রাজ্যের সব ফেরিঘাটের পরিস্থিতি কী, সেই বিষয়ে সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির পরে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের ডিভিশন বেঞ্চ রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়। সরকার চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে বলে জানান রাজ্যের জিপি (গভর্নমেন্ট প্লিডার) অভ্রতোষ মজুমদার।
গত ১৪ মে কালনায় মেলা থেকে শান্তিপুরের ঘাটে ফেরার পথে অতিরিক্ত যাত্রীতে বোঝাই একটি নৌকা ডুবে যায়। তলিয়ে যান বহু যাত্রী। সেই ঘটনার জেরে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এ দিন সেই মামলার শুনানিতে আবেদনকারী সংগঠনের আইনজীবী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভনীল চক্রবর্তী জানান, কালনার ঘটনায় প্রশাসন উদ্ধারকাজে গাফিলতি করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শান্তিপুর। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি নৌকা। শূন্যে গুলি চালিয়ে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশকে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে হয়। একে একে পাওয়া যায় ১৮ জনের দেহ।
আবেদনে বলা হয়েছে, ফেরিঘাট চালানোর অনুমতি দেয় পঞ্চায়েত বা পুরসভা। সব ফেরিঘাটের হাল খতিয়ে দেখা হোক। প্রধান বিচারপতি এ দিন জিপি-র উদ্দেশে বলেন, ‘‘যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ফেরিঘাটগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা উচিত। সরকার সবিস্তার রিপোর্ট দাখিল করুক আদালতে।’’