Child Trafficking

বিহার থেকে কলকাতা হয়ে পাচারের পথে উদ্ধার ২১ শিশু

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বিহার থেকে এই শিশুদের কলকাতা হয়ে মুম্বই পাচারের ছক ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:২৫
Share:

ধৃত তিন পাচারকারী। নিজস্ব চিত্র।

লকডাউনের মধ্যে পাচার করে আনা ২১ শিশুকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোরবেলা বিহার থেকে আসা একটি বাস থেকে ওই ২১ শিশুকে উদ্ধার করে ময়দান থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন পাচারকারীকে। শিশু পাচারের পিছনে বড় চক্র কাজ করছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বিহার থেকে এই শিশুদের কলকাতা হয়ে মুম্বই পাচারের ছক ছিল। সেখান থেকে অনেককে পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও পাচার করে দেওয়া হয়। এদের মূলত ‘বন্ডেড লেবার’ বা বিনা পারিশ্রমিকে বিভিন্ন কারখানা এবং বাগিচায় কাজ করানো হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে সোমবার সকালে বাবুঘাটে বিহার থেকে আসা একটি বাসে তল্লাশি চালানো হয়। নাবালকদের সঙ্গে কোনও অভিভাবক ছিলেন না। নাবালক ২১ জন ছাড়াও, আরও ১২-১৫ জন সাবালক ছিলেন ওই বাসে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তরুণদের হাওড়ার কারখানায় কাজের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পুলিশ সাবালকদের ছেড়ে দিলেও ২১ জন নাবালককে উদ্ধার করে। এদের যে ফড়ে বা দালালরা নিয়ে আসছিল তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মহম্মদ চাঁদ, মহম্মদ আয়সান এবং মহম্মদ আফজল— এই তিন জনেরই দায়িত্ব ছিল শিশুদের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার। এই শিশুরা প্রত্যেকেই বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা। বয়স ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিষ্ণুপুরে মহিলা বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

পুলিশ সূত্রে খবর, এদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আদালতে পেশ করে এদের অবিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বিহার এবং ঝাড়খণ্ড থেকে শিশুদের শ্রমিক হিসাবে পাচারের ঘটনা প্রায়শই ঘটে। ঝাড়খণ্ডে এ রকম একটি পাচার চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনকে জেরা করে কলকাতার মূল আড়কাঠির হদিশ করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন