নবনির্মিত: সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজারহাট ক্যাম্পাস। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই নিয়মিত পঠনপাঠন শুরু হতে চলেছে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজারহাট ক্যাম্পাসে। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফেলিক্স রাজ জানান, এ বছরে কমার্সে স্নাতক এবং ইংরেজি, মাস কমিউনিকেশন, কমার্স ও সোশ্যাল ওয়ার্কে স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন দিয়ে যাত্রা শুরু করবে এই নয়া ক্যাম্পাস। প্রতি বিভাগে ৬০ জন পড়ুয়া সুযোগ পাবেন প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে।
নারী দিবসে এই ক্যাম্পাস-সূচনার ঘোষণায় ফেলিক্স রাজ মনে করিয়ে দেন, জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ নারীশক্তিতে নয়, বরং নারী-পুরুষ সাম্যে বিশ্বাসী। কারণ নারীর শক্তি যে কতটা, আর অবিদিত নয় এই বিশ্বে। এই সাম্যের বিশ্বাসে ইতিমধ্যেই দেশের দীর্ঘতম শিক্ষাশৃঙ্খল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে জেভিয়ার্স। ৩০০টি হাইস্কুল, ৫২টি কলেজের তালিকায় এ বার যোগ হল রাজারহাটের নয়া ক্যাম্পাসও।
মোট ১৭ একর জমিতে একাধিক বহুতল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে এই ক্যাম্পাসে। ২০২০ সালের মধ্যে আংশিক এবং ২০২৫ সালের মধ্যে নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, অ্যাম্ফিথিয়েটার, উপাসনা গৃহ, সুইমিং পুল, ফুডকোর্ট, অডিটোরিয়াম, স্মার্ট ক্লাসরুম, বাস্কেটবল কোর্ট, ব্যাঙ্ক, ফুটবল মাঠে সেজে উঠবে ক্যাম্পাস। পড়াশোনা করতে পারবেন ১২ হাজার পড়ুয়া। দু’হাজার ছেলেমেয়ের থাকার ব্যবস্থা হবে।
ইদানীং বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলির লাগামছাড়া বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সরকারি সচেতনতার প্রসঙ্গে ফেলিক্স রাজ বলেন, অত্যন্ত কম খরচে, প্রয়োজনে নিখরচায় দুঃস্থ অথচ মেধাবী পড়ুয়াদের দায়িত্ব নেন তাঁরা। কোনও পরিবার থেকে প্রথম কেউ এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে এলে স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়। নতুন ক্যাম্পাসের আশপাশেও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের প্রয়োজন বুঝে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে প্রতিষ্ঠানের তরফে।