ঘটনার পরে পেরিয়ে গিয়েছে ১০ দিন। কিন্তু সোনারপুরে গয়নার দোকানে ডাকাতি ও দোকান মালিককে খুনের পাণ্ডা কাশেম-সহ সাত জনের দলটি এখনও অধরা। তদন্তকারীদের অনুমান, দুষ্কৃতীরা সীমান্ত পেরিয়ে চম্পট দিয়েছে। ২ এপ্রিল সোনারপুর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ওই গয়নার দোকানে হামলা চালিয়ে মালিক দীপক দেবনাথকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাদের গুলিতে জখম হন এক মহিলা-সহ তিন জন। ঘটনার রাতেই ভাঙড় থেকে লাভলু সর্দার নামে বাংলাদেশের এক দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় লুঠ হওয়া গয়না। ধৃতকে জেরা করে তার পরে দুই মহিলা-সহ আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়
কিন্তু ওই পর্যন্তই। জেলা পুলিশের এক তদন্তকারীর কথায়, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার সীমান্ত দিয়ে আরও তিন জনকে এ দেশে নিয়ে এসেছিল বলে জেরায় কবুল করেছে লাভলু। সম্প্রতি তদন্তকারী অফিসারেরা লাভলুকে নিয়ে ওই এলাকায় নজরদারি চালিয়ে এসেছেন। এক অফিসারের কথায়, লাভলু-সহ তিন জন ৩০ মার্চ সীমান্ত এলাকার অরক্ষিত অঞ্চল দিয়ে এ পারে ঢুকেছিল। ডাকাতির পরে সেখান দিয়েই দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশে পালিয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
প্রাথমিক তদন্তে বারুইপুর জেলা পুলিশ জানিয়েছে, সোনারপুরের ঘটনায় জড়িত দলটি প্রায় বছর সাতেক ধরে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা সহ আরও কয়েকটি জেলায় ডাকাতি করেছে। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি কেটে গেলেও দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জেরে কার্যত বেঘোরে প্রাণ দিলেন দীপকবাবু। সোনারপুর থানার আইসি-র বিরুদ্ধেও বিক্ষাভ দেখান স্থানীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, কোনও সমস্যা নিয়ে থানায় গেলেই আইসি দাবি করেন, বিভিন্ন থানায় কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি একাধিক দাগি আসামিকে ধরেছেন। সে ক্ষেত্রে থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ডাকাতি হলে দুষ্কৃতীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে যায় কী ভাবে? এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা সব রকম চেষ্টা করছি। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।’’