Calcutta News

ছবি প্রকাশ করেও দু’মাস পরে অধরা অভিযুক্তেরা

লালবাজার অবশ্য জানাচ্ছে, জোড়াবাগান থানা এলাকায় ওই ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। সেই কারণে তাদের ছবি পোস্তা-সহ ওই এলাকা এবং তার আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৮ ০২:১০
Share:

অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের ছবিও ধরা পড়েছে সিসিটিভির ফুটেজে। প্রতীকী ছবি।

ডাকাতির পরে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস। অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের ছবিও ধরা পড়েছে সিসিটিভির ফুটেজে। শনাক্ত করার জন্য দুষ্কৃতীদের ছবি লাগানো হয়েছিল বিভিন্ন জনবহুল এলাকাতেও। তা সত্ত্বেও শহরের বুকে ঘটে যাওয়া ওই ডাকাতিতে জড়িতরা এখনও অধরা।

Advertisement

লালবাজার অবশ্য জানাচ্ছে, জোড়াবাগান থানা এলাকায় ওই ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। সেই কারণে তাদের ছবি পোস্তা-সহ ওই এলাকা এবং তার আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনার সময়ে ওই এলাকার বিভিন্ন মোবাইল টাওয়ারের তথ্য। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, বেশ কিছু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। পাশাপাশি, দুষ্কৃতীদের খোঁজ দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছেন লালবাজারের কর্তারা।

পুলিশ সূত্রের খবর, ৭ এপ্রিল, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬.১৫ মিনিটের মধ্যে জোড়াবাগান থানা এলাকার ৫৪/এ কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিটের এক চারতলা বাড়ির একটি অফিসে ডাকাতি হয়। আঙুর ব্যবসায়ী দেবীলাল শর্মার ওই অফিসে তিন জন দুষ্কৃতী ঢোকে। সেই সময় অফিসে ছিলেন শ্যাম শর্মা নামে এক কর্মী। তিনি ব্যবসার টাকা আদায় করে সবে অফিসে ঢুকেছিলেন। ওই সময়ে দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে, মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা লুঠ করে পালিয়ে যায়। ১৫ মিনিটের মধ্যে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ ওই বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তিন দুষ্কৃতীর ছবি পায়। তদন্তকারীরা দেখেন, মাঝবয়সী তিন ব্যক্তির মধ্যে দু’জন মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়িটি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে এক দুষ্কৃতীর পিঠে একটি ব্যাগ রয়েছে। তৃতীয় ব্যক্তির হাতেও ছিল ফোন। ডাকাতির পরে তারা পোস্তার দিক দিয়েই পালিয়ে যায় বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

ছবি থাকার পরেও কেন দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না?পুলিশ জানিয়েছে, ওই অফিসের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং অভিযুক্তদের ছবি দেখার পরে গোয়েন্দারা মনে করছেন, বিহার বা ভিন্‌ রাজ্যের দুষ্কৃতীরাই ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় কেউ ওই দুষ্কৃতীদের সাহায্য করেছিল। এ ছাড়াও দলটি নতুন বলেই অনুমান পুলিশের। গত বছর যোধপুর পার্কে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাতেও দুষ্কৃতীদের খোঁজার জন্য ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে সাফল্যও পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন