দোকান থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে ধৃত ২

কলকাতায় সোনার দোকান থেকে এক কোটিরও বেশি টাকা চুরি করে চম্পট দিয়েছিল এক কর্মচারী। কিন্তু খবর পেয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ও়ড়িশার বালেশ্বর থেকে ওই কর্মচারী-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পোস্তা থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৬ ০০:৩৯
Share:

কলকাতায় সোনার দোকান থেকে এক কোটিরও বেশি টাকা চুরি করে চম্পট দিয়েছিল এক কর্মচারী। কিন্তু খবর পেয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ও়ড়িশার বালেশ্বর থেকে ওই কর্মচারী-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পোস্তা থানার পুলিশ। আজ, বুধবার ওই দু’জনকে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আদালতে হাজির করানো হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সরোজ গিরি এবং নবকিশোর রাউত। এদের মধ্যে সরোজ ওই দোকানের দীর্ঘদিনের কর্মী ছিল। তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার পোস্তার হাটপুকুরিয়া রোডে একটি সোনার দোকানের মালিক জে ডি সৌগন্ধ টাকা চুরির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগে তিনি জানান, শনিবার দোকান বন্ধ করার সময়ে ক্যাশবাক্সের পাশে একটি ব্যাগে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা রেখে এসেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, সোমবার দোকান খোলার পর টাকাটা ব্যাঙ্কে জমা করে দেবেন। রবিবার দোকান বন্ধ
ছিল। সোমবার দোকান খোলার পর তিনি দেখেন, ওই ব্যাগটি উধাও। তার পর থেকে দোকানে আসেনি তাঁর কর্মচারী সরোজও।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সরোজের আসল বাড়ি ওড়িশার বালেশ্বরে। সেখানে তার একটি সোনার দোকানও রয়েছে। সরোজের ফোন নম্বর ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে জানা যায়, সোমবার সকালে বিবাদী বাগ থেকে ওড়িশার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে সে। এমনকী, রবিবার থেকে সোমবারের মধ্যে কার কার সঙ্গে সে কথা বলেছিল, তাও জানা যায়। পোস্তা থানার অফিসার-ইন-চার্জের নির্দেশে দু’জন তদন্তকারী অফিসার গৌতম দাস এবং দেবাশিস ভট্টাচার্য ওড়িশার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বালেশ্বরের সরো এলাকা থেকে পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

কী ভাবে চুরির পরিকল্পনা করেছিল দুই অভিযুক্ত? ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, শনিবার বিকেলে দু’জন গ্রাহকের কাছ থেকে মালিক টাকা নিচ্ছেন তা দেখে ফেলেছিল সরোজ। এর পরেই সে ওই টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করে। ফোন করে শনিবার রাতেই সে বালেশ্বর থেকে ডেকে আনে নবকিশোরকে। সরোজ জানিয়েছে, দোকানের লাগোয়া একটি ঘরে ওই দোকানের তিন জন কর্মচারীর সঙ্গে থাকত সে। সেখানে দোকানের একটি চাবি রাখা থাকত। রবিবার সকালে নবকিশোরকে সঙ্গে নিয়ে সে ওই চাবির নকল তৈরি করে। এর পর রবিবার ঝ়ড়বৃষ্টির মধ্যে মাঝরাতে দোকান খুলে টাকার ব্যাগ হাতিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়। পরে সোমবার চম্পট দেয় দু’জনে। কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) বিশাল গর্গ বলেন, ‘‘আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন