ঠাকুরপুকুরের বাখরাহাট চেকপোস্টের কাছ থেকে জাল ভারতীয় নোট-সহ ধরা পড়লেন দুই যুবক। ধৃত দুই যুবক, কমলেশ দে (৩৩) এবং রাজা মণ্ডল (৩২) এন্টালির বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, কমলেশের বাড়ি থেকে কম্পিউটারের সিপিইউ, স্ক্যানার এবং প্রিন্টার উদ্ধার হয়েছে। বাড়িতে বসেই জাল ভারতীয় নোট বানানো হত বলে অনুমান পুলিশের।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। সূত্রের খবর, বাখরাহাট চেকপোস্টের কাছে একটি দোকানে গিয়ে কমলেশ ১০০ টাকার নোট দিয়ে একটি সাবান কিনতে চান। তাঁর সঙ্গে রাজাও ছিলেন। নোট দেখে দোকানদারের সন্দেহ হওয়ায় তিনি ওই যুবককে সাবান বিক্রি করেননি। পাশের দোকানে গিয়ে আবার একটি ১০০ টাকার নোট দিয়ে সাবান দিতে বলেন কমলেশ। পুলিশ জানিয়েছে, নোট দেখে ওই দোকানদারেরও সন্দেহ হয়। তিনি যুবককে নোটটি ফেরত দিয়ে বলেন, সেটি জাল। বিপদ বুঝে কমলেশ ও রাজা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ওই দোকানদারও তাঁদের ধরার জন্য চিৎকার জুড়ে দেন। সেই আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন তাড়া করে ধরে ফেলেন দু’জনকে। তাঁদের তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। ধৃতদের বিরুদ্ধে জাল নোট চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ধৃতদের বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতদের কাছ থেকে উনিশটি জাল ১০০ টাকার নোট উদ্ধার করা হয়েছে। শহরের বুকে এই দুই যুবক কত দিন ধরে জাল নোটের কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে মানিকতলা থেকে চন্দ্রশেখর জায়সবাল নামে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল স্পেশ্যাল টাস্কফোর্স। তখন তল্লাশি চালিয়ে মানিকতলা এবং হাওড়ার ডোমজুড়ে জাল নোট তৈরির কারখনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ভারতীয় এবং বিদেশি মুদ্রা মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার জাল নোট এবং সেই নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছিল। অভিযুক্তদের সঙ্গে জাল নোট পাচার চক্রের যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বাখরাহাটের ক্ষেত্রেও অভিযুক্তদের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকার আন্তর্জাতিক জাল নোট পাচার চক্রের যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।