কনস্টেবলকে কামড়, ধৃত ২

কনস্টেবলের ‘অপরাধ’ ছিল রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটি তিনি সরাতে বলেছিলেন তিন যুবককে। এ নিয়ে বচসা শুরু হলে তাঁর হাতে মোক্ষম কামড় বসায় এক যুবক। পালানোর চেষ্টাও করে তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩৯
Share:

কনস্টেবলের ‘অপরাধ’ ছিল রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটি তিনি সরাতে বলেছিলেন তিন যুবককে। এ নিয়ে বচসা শুরু হলে তাঁর হাতে মোক্ষম কামড় বসায় এক যুবক। পালানোর চেষ্টাও করে তাঁরা। কিন্তু তিন জনের মধ্যে দু’জনকে ধরে ফেলেন তিনি। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ সন্তোষপুর লেকের কাছে ঘটনাটি ঘটে। পরে কনস্টেবলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম অর্ঘ্য দাস এবং অমৃত বারুই। তাঁরা দু’জনে সন্তোষপুর অ্যাভিনিউ এবং পঞ্চসায়রের বাসিন্দা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে গাড়ি রেখে তিন যুবক নিজেদের মধ্যেই বচসা এবং মারপিট করছিলেন। ইতিমধ্যেই কনস্টেবল মৃণালকান্তি সিংহ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার বিজয় ভৌমিক ঘটনাস্থলে আসেন। রাস্তা আটকে যাচ্ছে দেখে তাঁরা ওই যুবকদের গাড়ি সরাতে বলেন। গাড়ি সরাতে না চেয়ে ওই তিন যুবক পুলিশের সঙ্গেই বচসা জুড়ে দেয়। অভিযোগ, এর মধ্যেই মৃণালকান্তিবাবু ও বিজয়বাবুকে ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করে যুবকেরা। এমনকী, কনস্টেবলের উর্দিও এক যুবক ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ।

উপায়ান্তর না দেখে থানায় ফোন করে সাহায্য চান মৃণালবাবু। থানায় ফোন করতে দেখে তিন যুবকই পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দু’জনকে আটকে দিতে সমর্থ হন তাঁরা। এর মধ্যে অর্ঘ্য দাস নামে যুবক আচমকা কামড় বসিয়ে মৃণালকান্তিবাবুর বাঁ হাতে। যন্ত্রণায় তখন তাঁর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। প্রাণপণ ধাক্কাধাক্কি করে তিনি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের গাড়ি। তখন মৃণালবাবুকে ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তেরা। কিন্তু দু’জনকেই পিছন থেকে তাঁরা জাপটে ধরে ফেলেন। অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মৃণালবাবুকে বাঘাযতীন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে দুই অভিযুক্তের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement