অস্ত্র কেনাবেচায় ধৃত ৩

শ্মশান ঘাটে বসে আলোচনায় মগ্ন তিন যুবক। আচমকাই তাদের ঘিরে দাঁড়ালেন আরও কয়েক জন যুবক। আর তাঁদের দেখেই চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করতেই তিন যুবককে পাকড়াও করলেন অন্যরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৬ ০১:০৬
Share:

শ্মশান ঘাটে বসে আলোচনায় মগ্ন তিন যুবক। আচমকাই তাদের ঘিরে দাঁড়ালেন আরও কয়েক জন যুবক। আর তাঁদের দেখেই চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করতেই তিন যুবককে পাকড়াও করলেন অন্যরা। যাদের ধরা হল তারা আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা করছিল। আর যাঁরা ঘিরে ধরে পাকড়াও করলেন তাঁরা হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা।

Advertisement

বুধবার ভোরে এ ভাবেই আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা করার অপরাধে বাঁশতলা শ্মশান ঘাট থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ জানান, এ দিন ভোরে সাড়ে ৫টা নাগাদ বাঁশতলা শ্মশান ঘাটে ওই বেআইনি কেনাবেচা হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। এর পরেই তাঁরা সেখানে হানা দিয়ে মনোজ কুমার, আজিজ মোল্লা, আশিদুল্লা মালিক নামের ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করেন। ধৃতদের থেকে আটটি ওয়ান শটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার জানান, কয়েক দিন আগে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার জন্য বিহারের নালন্দার বাসিন্দা মনোজ কুমারের সঙ্গে হুগলির পাণ্ডুয়ার আজিজ ও বর্ধমানের বাসিন্দা আশিদুল্লা যোগাযোগ করে। কথাবার্তা চূড়ান্ত হওয়ার পরে এ দিন সকালে মনোজ ওই আটটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাঁশতলা ঘাটে আসে। সেখানেই সেগুলি নিতে এসেছিল আজিজ ও আশিদুল্লা। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘ঠিক কী কারণে দুই যুবক এতগুলি আগ্নেয়াস্ত্র কিনছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তিন জনকেই জেরা করে প্রকৃত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান সুমিত কুমার জানান, হাওড়া আদালত ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ রয়েছে। তিনি জানান, বিহারের ওই যুবক এর আগে এ রাজ্যে এসে আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা করেছে কি না তা-ও তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন