সল্টলেক গণধর্ষণ-কাণ্ডে গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাঁচ নম্বর সেক্টরে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থেকে। ধৃতদের নাম, অর্ণব বেরা, শুভেন্দু নাগ ও সৌরভ দে। তারা বেলেঘাটা এবং বাসন্তীর বাসিন্দা। অর্ণব ও শুভেন্দু গাড়ি চালায়। সৌরভ গাড়ি চালানোর পাশাপাশি একটি আলমারি কারখানায় কাজ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৬ ০০:৪৬
Share:

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাঁচ নম্বর সেক্টরে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থেকে। ধৃতদের নাম, অর্ণব বেরা, শুভেন্দু নাগ ও সৌরভ দে। তারা বেলেঘাটা এবং বাসন্তীর বাসিন্দা। অর্ণব ও শুভেন্দু গাড়ি চালায়। সৌরভ গাড়ি চালানোর পাশাপাশি একটি আলমারি কারখানায় কাজ করে।

Advertisement

বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক জনের খোঁজ চলছে।

২৯ মে রাতে পাঁচ নম্বর সেক্টরে এক তরুণীকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করা হয়। গণধর্ষণের পরে ৩০ মে ভোরে বৈশাখী আবাসনের পাশে খালপাড়ে তাঁকে গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে দুষ্কৃতীরা পালায়— এমন অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুরো ঘটনা সম্পর্কে সব দিক থেকে তদন্ত চলছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটিও।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়তে ধৃতেরা পালিয়ে হাড়োয়ায় শুভেন্দুর এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। যে গাড়িতে তরুণীকে তোলা হয়েছিল, সেটি একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় ব্যবহৃত হয়। শুভেন্দু সেটি চালায়। সিসিটিভির ফুটেজ থেকে গাড়িটি চিহ্নিত করে সেই সূত্রে শুভেন্দুর খোঁজ মেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় একটি নৈশ-ক্লাবে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার রাতে তিনি ট্যাক্সিতে পাঁচ নম্বর সেক্টরে যান। ট্যাক্সি ছেড়ে সেখানে রেস্তোরাঁর সন্ধান করছিলেন। শুভেন্দু গাড়ি নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়েছিল। সে ফোনে সৌরভ ও অর্ণব এবং আরও এক বন্ধুকে ডেকে পাঠায়। যে পেশায় নিরাপত্তারক্ষী বলে জেনেছে পুলিশ। তারা রাস্তার ধারের দোকান থেকে কিছু খাবার কেনে। পুলিশের দাবি, গাড়ি স্টার্ট করার সময়ে অর্ণব সিগারেট কিনতে নামে। সেই দোকানেই তরুণী রেস্তোরাঁর খোঁজ করছিলেন। সেই সূত্রেই অর্ণবের সঙ্গে তরুণীর কথাবার্তা হয়। তার মধ্যেই গাড়ি নিয়ে বাকি ৩ জন সেখানে আসে। অভিযোগ, তখন তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তোলা হয়। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, জোর করে গাড়িতে তোলার প্রমাণ এখনও মেলেনি। অভিযোগ, তরুণীকে নিয়ে অ্যাকোয়াটিকা রোডে গিয়ে নির্জন একটি জায়গায় গাড়ি থামিয়ে শারীরিক নির্যাতন চলে। পরে বৈশাখী আবাসনের কাছে চলে তাঁকে ফেলে যায় শুভেন্দুরা।

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বৈশাখী আবাসনের কাছে খালপাড়ের রাস্তায় তরুণীকে উদ্ধার করা হলেও তাঁকে গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলার প্রমাণ এখনও মেলেনি।

ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি, সিপিএম এ দিন বিক্ষোভ দেখায়। পাঁচ নম্বর সেক্টর থানায় শমীক ভট্টাচার্য, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান জনা ৫০ বিজেপি কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের উদাসীনতা এবং পরোক্ষ মদতে দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ করেছে এবং দোষীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন