Ama Dablam

কাছে পৌঁছেও দূরে আমা দাবলাম

কেন অধরা রয়ে গেল আমা দাবলাম? কাঠমান্ডুর হাসপাতাল থেকে সত্যরূপ জানাচ্ছেন, শনিবার রাতে সামিট পুশ শুরুর আগে থেকেই বাধার মুখে পড়ছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোভিড আতঙ্ককে পিছনে ফেলে পাহাড়ের টানে একসঙ্গে পথে নেমেছিলেন ওঁরা। লক্ষ্য ছিল, নেপাল হিমালয়ের আমা দাবলাম (৬৮১২ মিটার) শৃঙ্গ জয়। কিন্তু এ বার সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল তিন বাঙালি পর্বতারোহী— দেবাশিস বিশ্বাস, মলয় মুখোপাধ্যায় এবং সত্যরূপ সিদ্ধান্তের।

Advertisement

হাজারো বাধা টপকে গত ২ নভেম্বর অভিযানে বেরিয়েছিলেন এই তিন বাঙালি। পরিকল্পনা মতো শনিবার রাত ১০টায় ক্যাম্প টু থেকে শৃঙ্গের দিকে রওনা হন তাঁরা। কিন্তু আবহাওয়া ভাল থাকা সত্ত্বেও হাত অসাড় হয়ে যাওয়ায় মাঝপথ থেকে ফিরতে হয় সপ্তশৃঙ্গজয়ী সত্যরূপকে। দেবাশিস ও মলয় শৃঙ্গের দিকে এগোলেও শেষ পর্যন্ত তা না ছুঁয়েই ক্যাম্প টু-তে ফিরতে হয় তাঁদেরও।

কেন অধরা রয়ে গেল আমা দাবলাম? কাঠমান্ডুর হাসপাতাল থেকে সত্যরূপ জানাচ্ছেন, শনিবার রাতে সামিট পুশ শুরুর আগে থেকেই বাধার মুখে পড়ছিলেন তিনি। প্রথমে খেয়াল করেন, তাঁর ডাঙ্গেরির (অভিযানের পোশাক) চেন ঠান্ডায় ভেঙে গিয়েছে। কোনও রকমে তা সামাল দিয়ে সামিট পুশে বেরিয়ে দেখেন, যে দড়িতে তাঁর জ়ুমার লাগিয়ে যাওয়ার কথা, সেটি যথেষ্ট পোক্ত নয়। ফলে সেখানে বহুক্ষণ সময় নষ্ট হয় তাঁর। এর পরে পাহাড়ের খাড়া অংশে ওঠার সময়েও অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়।

Advertisement

সত্যরূপের কথায়, ‘‘এতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে করতে ভোর চারটে নাগাদ বুঝতে পারি, আঙুল অসাড় হয়ে যাচ্ছে। জ়ুমার ভাল করে ধরতে পারছি না। হাত গরম করে, গরম জল খেয়ে বেশ কিছুটা সময় ধরে চেষ্টা করলেও যখন দেখলাম যে হাতের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না, তখন ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই।’’ তবে ফেরাটাও তত সহজ ছিল না তাঁর পক্ষে। এর পরে ক্যাম্প টু থেকে হেলিকপ্টারে করে তাঁকে কাঠমান্ডুতে নামিয়ে আনা হয়। আপাতত সেখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সত্যরূপ।

অন্য দিকে, আমা দাবলামের খাড়াই ‘মাশরুম রিজ়’ পেরিয়ে দেবাশিস ও মলয় এ দিন সামিটের পথে এগোলেও এই অভিযানের আয়োজক সংস্থা ‘সেভেন সামিট’ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরাও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেননি। তবে তাঁরা সুস্থ ভাবে ক্যাম্প টু-তে ফিরেছেন। গত ২২ নভেম্বর আমা দাবলাম অভিযানে যাওয়া আর এক বাঙালি, আদতে শিলিগুড়ির বাসিন্দা সূর্য চৌধুরীও শৃঙ্গ ছুঁতে পারেননি। খারাপ আবহাওয়ার জন্য শৃঙ্গের কিছু দূর থেকে ফিরতে হয় তাঁকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন