ভেঙে পড়ল কার্নিস, জখম বৃদ্ধ-সহ চার

দোতলা বাড়িটির নীচের তলায় রয়েছে দোকান। উপরের তলায় থাকেন জনা দশেক ভাড়াটে। বাজার বসে বাড়ির সামনের ফুটপাতে। ভাড়াটেদের অভিযোগ, বাড়ির বিপজ্জনক অংশ সংস্কারের জন্য বাড়ির মালিককে একাধিকবার বলেও লাভ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৮ ০২:৫৩
Share:

ভেঙে পড়া সেই কার্নিস। রবিবার, এপিসি রোডে। নিজস্ব চিত্র

রবিবারের সকাল। একটি বাড়ির তলায়, ফুটপাতে বসে আনাজ বিক্রি করছেন এক বৃদ্ধ। হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে তাঁর মাথায় ভেঙে পড়ল ওই বাড়ির দোতলার একটি কার্নিস।

Advertisement

এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ১০৪, এপিসি রোডে। পুলিশ জানায়, ওই এলাকায় একটি বাজার রয়েছে। সেখানেই বসে ছিলেন ভুটান দাস নামে ওই বৃদ্ধ। বাড়িটির দোতলার কার্নিসের বেশ কিছুটা অংশ ভুটানবাবুর উপর পড়ে। মাথায় ও হাতে গুরুতর চোট পান তিনি। তিন পথচারী তখন ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। আহত হন তাঁরাও। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে আহতদের প্রথমে নিয়ে যায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। পরে চার জনকে মধ্য কলকাতার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভুটানবাবু আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক অজয় শ্রীমানির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ। বাড়ির দোতলার এক বাসিন্দা প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সকালে তখন খবরের কাগজ প়ড়ছিলাম। হঠাৎই বিকট শব্দ পেলাম। নীচে গিয়ে দেখি, চার জন আহত হয়েছেন।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ওই এলাকায় বেশি লোকজন ছিল না। তা না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল।

Advertisement

কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, ওই বাড়িটির একাংশ বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। কলকাতা পুরসভার ডিজি বিল্ডিং (২) দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই বাড়ির বিপজ্জনক অংশ সোমবার ভেঙে ফেলা হবে।’’ দোতলা বাড়িটির নীচের তলায় রয়েছে দোকান। উপরের তলায় থাকেন জনা দশেক ভাড়াটে। বাজার বসে বাড়ির সামনের ফুটপাতে। ভাড়াটেদের অভিযোগ, বাড়ির বিপজ্জনক অংশ সংস্কারের জন্য বাড়ির মালিককে একাধিকবার বলেও লাভ হয়নি। এ প্রসঙ্গে অজয়বাবু বলেন,‘‘ভাড়াটেরা যে টাকা দেন, তাতে পুরো বাড়ি সংস্কার করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ দিনের দুর্ঘটনার পরে বাড়ির বিপজ্জনক অংশ কী ভাবে সারানো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement