বাইপাসে বাজারে আগুন, ভস্মীভূত বাড়ি-দোকান

আগুন লেগে পুড়ে গেল ই এম বাইপাস এবং বেঙ্গল কেমিক্যাল সংলগ্ন বাজারের প্রায় ২০ টি দোকান। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। এদিকে আগুনের জেরে মানিকতলা মেন রোড এবং বাইপাসে কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৮:৫৫
Share:

পুড়ে ছাই দোকান। ছবি: শৌভিক দে।

আগুন লেগে পুড়ে গেল ই এম বাইপাস এবং বেঙ্গল কেমিক্যাল সংলগ্ন বাজারের প্রায় ২০ টি দোকান। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।

Advertisement

এদিকে আগুনের জেরে মানিকতলা মেন রোড এবং বাইপাসে কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়।

দমকল সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আগুন লাগার খবর পৌঁছয়। দমকলের অভিযোগ, দোকানগুলি বাঁশ, কাঠ এবং প্লাইউডের মতো দাহ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এবং ভিতরেও প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত লাগায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু চারপাশ থেকে জল দেওয়ায় আগুন ছ়ড়়িয়ে পড়ার আগেই তারা তা আয়ত্তে আনেন।

Advertisement

এ দিকে ওই বাজারের দোকানদারদের দাবি, বাজারের ওই অংশে প্রায় ৭০টির মতো দোকান-সহ বসবাসের ঘর ছিল। এ দিনের আগুনে দোকানের সঙ্গে দু’-তিনটে ঘরও পুড়ে গিয়েছে। তবে কোথা থেকে আগুন লাগে তা কেউই বলতে না পারলেও প্রাথমিকভাবে স্থানীয় লোক জন জানাচ্ছেন, বাজারের ভিতরে থাকা লোহার ঝালাইয়ের দোকান থেকেই প্রথমে আগুন বেরোতে দেখা যায়। পরে ওই দোকানের গা ঘেঁষে থাকা বাকি দোকান এবং ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলির মধ্যেই একটি খাবারের ‘হোম ডেলিভারি’-র দোকান রয়েছে। সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। তাঁদের দাবি, আগুন ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ওই দোকানটির সিলিন্ডারগুলি বের করে নিয়ে যাওয়ায় আগুন বড় আকার নিতে পারেনি। তাঁদের বক্তব্য, সিলিন্ডার ফেটে গেলে আরও অনেক দোকানের ক্ষতি হত।

ওই বাজারের ভিতরেই থাকেন আলপনা দাস। তিনি জানান, দুপুরে তিনি ও তাঁর স্বামী ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎ আগুনের হল্কা দেখে ভয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এবং দেখেন তাঁদের বাঁশের তৈরি ঘরের এক দিকে ততক্ষণে আগুন লেগে গিয়েছে। পাশে থাকা সাইকেল সারানোর দোকান, লোহার দোকান–সহ বাকি কয়েকটি দোকান দাউদাউ করে জ্বলছে। এ দিনের আগুনে তাঁর ঘর এবং সব আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে।

দমকলের এক আধিকারিক জানান, বাঁশ, কাঠ আর প্লাইউডের মতো দাহ্য পদার্থ দিয়ে দোকানগুলি তৈরি হওয়াতেই এক ঘণ্টার আগুনে ওতোগুলি দোকান পুড়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন