—প্রতীকী চিত্র।
কালিম্পংয়ের সরকারি বাংলো থেকে এক পর্যটকের সোনার গয়না ও টাকা চুরির অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতের ওই ঘটনা রবিবার সকালে নজরে আসার পরেও রিপোর্ট লেখা নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। দোয়েল সাহা নামে ওই পর্যটক কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। তাঁর অভিযোগ, চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে লজ থেকেই তাঁদের লিখিত অভিযোগ করতে বারণ করা হয়েছিল। কালিম্পং পুলিশের দাবি, সই করা লিখিত অভিযোগ ছাড়া এফআইআর করা যাবে না। যদিও কালিম্পং থানায় একটি ইমেল করে অভিযোগ পাঠিয়েছেন ওই শিক্ষিকা।
কলকাতার বাগুইআটি থেকে গত ২ জুন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কালিম্পংয়ে গিয়ে ডেলো টুরিস্ট লজে উঠেছিলেন দোয়েল। ৩ জুন রাতে সেখান থেকেই তাঁর একটি ব্যাগ, টাকা, গয়না ও একটি মোবাইল ফোন-সহ আরও কিছু সামগ্রী চুরি যায় বলে দোয়েলের অভিযোগ। লজের একতলার যে ঘরে ওই শিক্ষিকা উঠেছিলেন, সেটির ড্রেসিং রুমের দরজার একটি ছিটকিনি ভাঙা বলে পরের দিন নজরে আসে তাঁদের। সোমবার এ বিষয়ে দোয়েল বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হোটেলের ম্যানেজার বলেন, তাঁরা যে হেতু রিপোর্ট দেবেন, তাই আমাকে আর দিতে হবে না।’’ যদিও হোটেলের ম্যানেজার গুঞ্জন তামাং শিক্ষিকার এই দাবি অস্বীকার করেছেন।
ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, ডেলোর সরকারি লজে মোটা টাকা দিয়ে থাকেন মানুষ। অথচ, দরজার উপরের কাচ খোলা। রাত ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত জরুরি কারণে কাউকে ডাকলেও কোনও রকম সাড়া পাওয়া যায় না। কাজ করে না সেখানকার সিসি ক্যামেরাও। লজটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণে। এ ব্যাপারে জিটিএ-র কার্যনির্বাহী অধিকর্তা (পর্যটন) সোনম ভুটিয়া এ দিন বলেন, ‘‘হোটেলের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজও দেওয়া হয়েছে।’’ কালিম্পং জেলা পুলিশ সুপার অপরাজিতা রাই বলেন, ‘‘সই করা লিখিত অভিযোগ ছাড়া এফআইআর হবে না। তবে আমরা তদন্ত করে দেখছি।’’