Death in Gariahat

ট্রেনিংয়ে এসে গড়িয়াহাটের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা পুলিশকর্মীর! দরজা ভেঙে উদ্ধার দেহ, মিলল ওড়িয়ায় লেখা চিঠি

পুলিশ সূত্রে খবর, সুব্রতের ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। ওড়িয়া ভাষায় লেখা চিরকুটটিকে সুইসাইড নোট বলেই মনে করা হচ্ছে। তাতে কী লেখা এবং সত্যিই সেটা সুব্রত লিখেছেন কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ১৩:১৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

গড়িয়াহাটে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিন্‌রাজ্যের এক পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। মৃতের নাম সুব্রতকুমার সাউ। বাড়ি ওড়িশার বলরামপুরে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই যুবক।

Advertisement

মঙ্গলবার সাড়ে ৩টে নাগাদ গড়িয়াহাট থানায় একটি ফোন যায়। খবর দেওয়া হয়, দক্ষিণ কলকাতার মহানির্বাণ রোডে একটি ফ্ল্যাটের তিন তলায় একটি ঘর দীর্ঘ ক্ষণ ধরে বন্ধ। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ডাকাডাকি করে সাড়া না মেলায় মূল দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। দেখা যায়, গলায় গামছা দিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন এক যুবক। তাঁর পরিচিত কয়েক জনের সাহায্য নিয়ে দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ও পরিচয়।

জানা যায়, ওড়িশার বাসিন্দা সুব্রত এক জন পুলিশকর্মী। পুলিশের একটি প্রশিক্ষণের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। উঠেছিলেন গড়িয়াহাটের একটি ফ্ল্যাটে। তাঁর পরিচিত এবং সহকর্মীরা জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে কোনও কারণে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন ৩২ বছরের ওই যুবক। মৃত্যুর আগের দিন ট্রেনিংয়েও যাননি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সুব্রতের ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। ওড়িয়া ভাষায় লেখা চিরকুটটিকে সুইসাইড নোট বলেই মনে করা হচ্ছে। তাতে কী লেখা এবং সত্যিই সেটা সুব্রত লিখেছেন কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওড়িশার পুলিশকর্তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। সুব্রতের মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর পরিবারকে। প্রাথমিক তদন্তের পর আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছে পুলিশ। মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গড়িয়াহাট থানার পুলিশের একটি সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় কোনও অভিযোগ এখনও জমা পড়েনি। ওড়িশার পুলিশকর্মীর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement