কসবাকাণ্ডের তদন্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গেলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। ঘটনাস্থলে তার আগেই গিয়েছিল ফরেন্সিক দল। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহও করেছে তারা। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত সিপি সন্তোষ পাণ্ডে এবং ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতাও। সন্ধ্যা ৬টার একটু পরে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অতিরিক্ত সিপি।
বেরোনোর সময় সন্তোষ বলেছিলেন, ‘‘ডিসি পুরো ব্যাপারটা আপনাদের বলবেন। পুলিশ ইউনিয়ন রুম, গার্ডরুম সব ঘুরে দেখেছে। এই মুহূর্তে ফরেন্সিক টিমও ভিতরে নমুনা সংগ্রহ করছে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। কসবা থানায় তরুণী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পার্ক সার্কাসের কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। বয়ান রেকর্ড করা হয় সাক্ষীদের। এর পর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিংয়ের সামনে থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর পর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তৃতীয় অভিযুক্ত ধরা পড়েন। শুক্রবার তাঁদের আলিপুরের আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
(ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনায় যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। সেই কারণে আনন্দবাজার ডট কম কসবার ধর্ষণকাণ্ডে তিন অভিযুক্তের নাম এবং ছবি প্রকাশে বিরত থাকছে)