— প্রতীকী ছবি।
কারমেলে ক্লাস থ্রি-তে পড়ে আমার মেয়ে। বেলা দেড়টায় ওর ছুটি হবে। ওকে নিয়ে যাব বলে এসেছি। এসে দেখি এই অবস্থা। ও এখনও স্কুলের ভিতরে। আমরা অসহায় বাবা-মায়েরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছি।
আমি যতটুকু জানি, ক্লাস টু-এর একটি বাচ্চার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন স্কুলেরই নাচের শিক্ষক। পুরনো শিক্ষকের রিটায়ারমেন্টের পর মাত্র কয়েক মাস হল উনি জয়েন করেছেন। গোটা স্কুলে উনিই একমাত্র পুরুষ শিক্ষক।
প্রায় প্রতিদিনই ডান্স ক্লাসে ওই বাচ্চাটাকে নাকি কোলে করে নিয়ে অডিটোরিয়ামে চলে যেতেন ডান্স টিচার। ওকে কোলে নিয়ে ঘুরতেন। তার পর যা হয় আরকি…। ওর প্রাইভেট পার্টসে হাত দিতে বাধ্য করতেন বলে শুনেছি। বেশ কিছুদিন ধরেই এ সব নিয়ে কানাঘুষো শুনছিলাম। এমনকি বাচ্চাটাকে এ সব বাড়িতে বলতেও বারণ করেছিলেন ওই শিক্ষক। বাড়িতে বললে ওর অবস্থা খারাপ করে দেবে বলেও নাকি হুমকি দিয়েছিল!
আরও পড়ুন, এ বার কারমেল, শিশুর যৌন নিগ্রহের অভিযোগে উত্তাল স্কুল
বাচ্চাটা নাকি একটু একটু করে বাড়িতে সব বলেছিল। পরশুদিন ওই বাচ্চার মা স্কুলে এসে সিস্টারকে সব বলেছিলেন। কিন্তু সিস্টার ওর মায়ের কথায় কোনও গুরুত্ব দেননি। গতকাল আবার এসেছিলেন ওর মা এবং মাসি। আর আজ আমরা সকলেই এটা নিয়ে বলছি।
ওই বাচ্চাটা ক্লাস টিচারকেও সব বলেছিল। কিন্তু তিনিও সে কথায় কোনও পাত্তা দেননি। আর এখন এত সব হওয়ার পর স্কুল বলছে, প্রমাণ দিন! কী প্রমাণ দেবে বাচ্চাটা? ও কি এসব কিছু বোঝে! আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি।
জানেন, স্কুলের ভিতর অনেক সিসিটিভি রয়েছে। কিন্তু কোনওটা অন থাকে না। আমরা সব জায়গায় সিসিটিভি চাই। টয়লেটের সামনে কোনও অ্যাটেন্ডেন্ট থাকে না। সেটারও ব্যবস্থা করতে হবে।আমার মেয়েও তো ভিতরে রয়েছে। আমাদের সকলের মেয়েরাই ভেতরে। স্কুলের ভিতরে ওদের লক করে দিয়েছে। পুলিশ লাঠি হাতে ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। আমার মেয়েটা ভিতরে যে কী করছে জানি না।
আমরা এর বিচার চাই। এই ঘটনা তো আমার মেয়ের সঙ্গেও হতে পারত। আমাদের একটাই কথা, মেয়েদের স্কুলে কোনও পুরুষ টিচার রাখা যাবে না। আর ওই টিচারকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমরা বুঝে নেব। এই জন্যই কি মেয়েদের পড়াশোনার জন্য স্কুলে পাঠাচ্ছি আমরা?