Death

পোশাক মেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, মৃত্যু শ্রমিকের 

স্থানীয় ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। এলাকায় বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে কি না, তা দেখার কাজ কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:১১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

নির্মীয়মাণ একটি বহুতলে কাজ করছিলেন এক শ্রমিক। সেই বহুতলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল তাঁর। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে নারকেলডাঙা থানার মহেশ বারিক লেনে। ভরসন্ধ্যায় এই মৃত্যুর ঘটনার জেরে এলাকায় তৈরি হয় চাঞ্চল্য। স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তির নাম মিয়ারুল শেখ। ২৮ বছরের ওই যুবক মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা। তিনি ওই নির্মীয়মাণ বহুতলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। শহরে থাকতেন ফুলবাগান এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, যে নির্মীয়মাণ বহুতলে মিয়ারুল কাজ করতেন, সেটি অবৈধ। এলাকায় এ রকম অনেক অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে বলেও তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

কী ভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন মিয়ারুল? স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ওই নির্মীয়মাণ বহুতলে কাজ করেন মিয়ারুল। সন্ধ্যায় কাজ শেষ করার পরে স্নান সেরে ওই বহুতলের দোতলায় ভেজা কাপড় মেলতে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও এক শ্রমিক। সেই ভেজা কাপড় মেলার সময়ে একটি বিদ্যুতের তার মিয়ারুলের শরীরে লাগায় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ওই রাজমিস্ত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এ দিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই নির্মীয়মাণ বহুতলের সামনে ভিড় জমিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। দোতলার সেই ঘরের দড়িতে মেলা আছে ভেজা জামা-কাপড়।

স্থানীয় ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। এলাকায় বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে কি না, তা দেখার কাজ কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের। সেই কাজে আমরা কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করি না। তবে কেউ এমন অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে এলে আমরা পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগে সে বিষয়ে জানিয়ে দিই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন