ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অবহেলিত স্কুল

প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চেষ্টায় গত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে সেই সরকারি স্কুল। কমেছে স্কুলছুটের সংখ্যা।

Advertisement

দীক্ষা ভুঁইয়া

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ০১:২৬
Share:

সেই কচিকাঁচারা। নিজস্ব চিত্র

এক সময়ে স্কুলের গেটের সামনে ফেলা থাকত বালি, ইট। স্কুল চত্বরেই এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই গাড়িও রাখতেন। এমনই ছিল ই এম বাইপাস সংলগ্ন কালিকাপুর আর এফ পি বিদ্যালয়ের ছবিটা।

Advertisement

প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চেষ্টায় গত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে সেই সরকারি স্কুল। কমেছে স্কুলছুটের সংখ্যা। শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, আগে খাতায়কলমে পড়ুয়া ২২০ থাকলেও আসত ৮০-১০০ জন। এখন ১৫৬ জনের মধ্যে ১২৫-১৩০ জন নিয়মিত আসে।

দোতলা স্কুলটিতে প্রি-নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে। প্রি-নার্সারি এবং নার্সারির দেওয়াল জুড়ে বাংলা ও ইংরেজি অক্ষরমালার পাশাপাশি রয়েছে ছড়া-ছবি। সিঁড়ির ধাপেও ইংরেজি অক্ষরে লেখা দিন এবং মাস।

Advertisement

প্রায় ধুঁকতে থাকা সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলি থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে এই সব উদ্যোগ বলে জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা। শিশুদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই ছড়া-ছবির মাধ্যমে পড়াশোনা চলে এখানে। স্কুল সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষিকা প্রথম জানতে পারেন, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির (সিএসআর) মাধ্যমে স্কুলের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। তখনই তিনি সিএসআর-এর জন্য আবেদন করেন। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে সীমানা পাঁচিল তুলে ঘিরে ফেলা হয় স্কুল।

পাঁচিল ঘেরা জায়গায় খুদে পড়ুয়াদের দিয়ে গাছ লাগানো শুরু হয়। পাশাপাশি শুরু হয় তাদের স্বাস্থ্য-সচেতন করার পাঠ। শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, দেখা গিয়েছিল এমন পরিবেশ পেয়ে বাচ্চারা সহজেই তা আয়ত্ত করে ফেলছে।

এর পরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ঠিক করেন, তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের এক-এক জনকে দায়িত্ব দেবেন বাকিদের স্বাস্থ্য দেখার জন্য।

বর্তমানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি থেকে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা এবং পরিবেশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং খাদ্যমন্ত্রী নির্বাচন করা হয়েছে। ছোটদের হাতের নখ, পোশাক পরীক্ষা করা থেকে মিড-ডে মিলের আগে হাত ধোওয়া― সবেতেই সতর্ক নজর এই মন্ত্রিসভার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement