গ্রেফতার অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয় জন)। নিজস্ব চিত্র।
বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশ অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনে গত ৩০ মে। পরের ৩৭ দিনে এক বারও এই অভিনেতার সঙ্গে কথা বলতে পারেনি তারা।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান বিশাল গর্গের দাবি, এই পুরো সময় জুড়েই বিক্রমের মোবাইল বন্ধ ছিল। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডেকে পাঠানো হলেও তিনি আসেননি। তাঁর কথায়, ‘‘বিক্রমের বাড়িতে তাঁকে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার খোঁজ মিলতেই গ্রেফতার করা হয়।’’ যদিও বিক্রমের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে বাড়িতেই ছিল।
তদন্তকারীদের একাংশ অবশ্য বলছে, কার্যত পালিয়েই বেড়াচ্ছিলেন বিক্রম। সম্প্রতি তাঁর মনে হয়, ১৩ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের শুনানির আগে পুলিশ তাঁকে ছোঁবে না। সেই আত্মবিশ্বাসই কাল হল। বিক্রম ভাবতে পারেননি, বন্ধুর যে মোবাইল থেকে ক্যাব ডেকে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বেরিয়েছিলেন, তার উপরেও নজর রাখছে পুলিশ।
লালবাজারের খবর, পুলিশের একাংশই বিক্রমকে ভিতরের খবর দিচ্ছিল। বিক্রমকে ধরা নিয়ে দু’টি প্রভাবশালী শিবিরের দ্বন্দ্বও চলছিল। শেষমেশ গ্রেফতারির পক্ষে পাল্লা ভারী হয়। তখন মামলা যেখানে রুজু হয়েছিল, সেই টালিগঞ্জ থানার পুলিশের একাংশকে, এমনকী তদন্তকারী অফিসারকেও অন্ধকারে রেখে বিক্রমকে ধরতে বিশেষ দল তৈরি করা হয়। ডিসি সাউথ প্রবীণ ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে সেই দলে ছিলেন এডিসিপি সাউথ অপরাজিতা রাই ও ভবানীপুর থানার ওসি সলিল রায়।
সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, কানাডা যেতে চেয়ে ভিসার আবেদন করেছেন বিক্রম। কিন্তু সে জন্য তাঁকে আদালতেও আবেদন করতে হতো। তার আগেই বিক্রমকে ধরতে চেয়েছিল পুলিশ।