দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলির একটি। বুধবার, হাওড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
‘শুধু ট্র্যাফিক আইন মেনে চলাই নয়, পাশাপাশি চালকদের মনের অন্ধবিশ্বাসও দূর করতে হবে’— বুধবার হাওড়ায় পুলিশ কমিশনারেটের পথ নিরাপত্তা সপ্তাহের একটি অনুষ্ঠানে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের এডিজি বিবেক সহায়। বুধবার সকালে ২৯তম পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ শুরুর আগেই নবান্নের কাছে একটি বিড়ালকে রাস্তা পারাপার করতে দেখে এক চালক আচমকা গাড়ি থামিয়ে দেন। ফলে তার পিছনে পরপর তিনটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে। এর জেরে বিদ্যাসাগর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে তীব্র যানজট তৈরি হয়ে যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই রাজ্য পুলিশের ওই কর্তা এমন মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছে হাওড়া সিটি পুলিশের একাংশ।
এ দিন সকালে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কোনা ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসের সামনে ঘণ্টাধ্বনি করে ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা
করেন এডিজি ট্রাফিক। ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ-সহ অন্য আধিকারিকেরা। এই অনুষ্ঠানের আগেই সকাল ৯টা নাগাদ নবান্নের সামনে পরপর চারটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। যদিও তাতে কেউ হতাহত হননি। তবে ট্রাফিক পুলিশের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁরা গাড়িগুলিকে দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, প্রথম গাড়ির সামনে দিয়ে একটি বিড়াল চলে যাওয়ায় কুসংসস্কারবশত ওই গাড়ির চালক আচমকা গাড়ি থামিয়ে দেন। তখনই তীব্র গতিতে থাকা পিছনের গাড়িগুলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পথ নিরাপত্তার বিষয়ে নিজের পরিবারের সদস্যদের সচেতন করার কথাও জানানো হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে হাওড়া ময়দানে রেড ক্রস সোসাইটির উদ্যোগে চালকদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দিতেও উদ্যোগী হয় হাওড়া সিটি পুলিশ। দু’দিনের এই শিবিরে দু’জন ট্রমা বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি শিবপুর আইআইইএসটি-র আধিকারিক ও পদস্থ পুলিশ কর্তারাও ৩০ জন চালককে প্রশিক্ষণ দেবেন।