ATM

ভিডিয়ো দেখেই এটিএম লুট, স্বীকার

তদন্তকারীরা জানান, ওই ঘটনায় তিন অভিযুক্ত পলাতক। যার মধ্যে ধৃতদের আত্মীয়ও রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২১ ০৬:২৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

হরিয়ানার ফরিদাবাদ ও মেওয়াট থেকে মোবাইলে পাঠানো হয়েছিল ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়ো দেখেই এটিএম কারসাজির কৌশল রপ্ত করেছিল অভিযুক্তেরা। পর্ণশ্রী এলাকা থেকে এটিএম কারসাজি করে লুটের ঘটনায় দ্বিতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরে এই তথ্য জেনেছে স্থানীয় থানার পুলিশ।

Advertisement

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই থানা এলাকার বীরেন রায় রোডের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে কারসাজি করে প্রায় তিন লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় গত মাসে গ্রেফতার হয়েছে মেওয়াটের এক বাসিন্দা। এ সপ্তাহে উত্তর ২৪ পরগনার রহড়ার এক বাসিন্দাকেও গ্রেফতার করা হয়। তার নাম মনোয়ার আনসারি। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, তার বাড়ি বিহারে হলেও সে এখানেই কাঠের কাজ করত। একই মামলায় ধৃত আশফাক এবং তার চক্রের সঙ্গে গত বছর আলাপ হয় আনসারির। যারা এটিএম কারসাজিতে সিদ্ধহস্ত।

তদন্তকারী এক অফিসার জানান, মনোয়ার আনসারিদের মতো কয়েক জন ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজের বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট-পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে পেত। ওই অ্যাকাউন্টের এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তুলত মেওয়াটের দুষ্কৃতীরা। ধৃত মনোয়ারের দাবি, পুলিশ ধরপাকড় শুরু করতেই এ রাজ্যে আসা কমিয়ে দেয় আশফাকরা। বদলে এটিএম অকেজো করার পদ্ধতির ভিডিয়ো পাঠায় তারা।

Advertisement

পুলিশকে ধৃত জানিয়েছে, ভিডিয়ো দেখে গত সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ওই এটিএমে পাঁচ বার চেষ্টা চালিয়েও সফল হয়নি তারা। অবশেষে ২ জানুয়ারি এটিএম অকেজো করে টাকা লুটের পরিকল্পনা সফল হয়। এর পরেও চক্রটি উত্তর ২৪ পরগনার কয়েক জায়গায় এটিএম লুট করেছে বলে জানা গিয়েছে।

তদন্তকারীরা জানান, ওই ঘটনায় তিন অভিযুক্ত পলাতক। যার মধ্যে ধৃতদের আত্মীয়ও রয়েছে। ধৃতেরা জানিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট সংস্থার এটিএম-ই তারা ‘টার্গেট’ করত, কারণ তাতে সুরক্ষায় একটু খামতি ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement