দুষ্কৃতী খুনে অভিযুক্ত পাকড়াও চেন্নাইয়ে

পুলিশ সূত্রের খবর, গত মাসে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার সোনাই রোডে একটি বহুজাতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার পরিত্যক্ত গুদাম থেকে আকলিম খান নামে এক যুবকের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বন্দর এলাকার এক দাগি দুষ্কৃতীকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল চেন্নাইয়ে। মঙ্গলবার দুপুরে বাবর খান নামে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে বন্দর এলাকায়। বাবরের আগে ওই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, গত মাসে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার সোনাই রোডে একটি বহুজাতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার পরিত্যক্ত গুদাম থেকে আকলিম খান নামে এক যুবকের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আকলিম এলাকার পরিচিত দুষ্কৃতী। চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, তোলাবাজি-সহ বিভিন্ন দুষ্কর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। পুলিশের হাতে একাধিক বার গ্রেফতারও হয়েছিল সে। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে তার গ্রামের বাড়ি। কয়েক বছর ধরে সে মেটিয়াবুরুজে থাকছিল। পুলিশ জানায়, আকলিমকে খুনের পরে জানা যায়, এলাকার তিন দুষ্কৃতীর খোঁজ মিলছে না।

পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে ধৃত বাবর। সে জানিয়েছে, আকলিমকে সে আগে থেকে চিনত। কয়েক মাস আগে আকলিমের কিছু টাকার প্রয়োজন পড়ে। বাবরের কাছে সে কয়েক হাজার টাকা ধার চায়। বাবর তার এটিএম কার্ড আকলিমকে দিয়ে বলেছিল, যত টাকা দরকার তুলে নিতে। বাবরের দাবি, তাকে না জানিয়েই এটিএম থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছিল আকলিম। এর পরে বাবরের যখন টাকার প্রয়োজন হয়, তখন সে ওই টাকা ফেরত দিতে বলে আকলিমকে। কিন্তু আকলিম একটি টাকাও শোধ করেনি।

Advertisement

পুলিশের দাবি, বাবর জেরায় বলেছে, টাকা না পেয়েই আকলিমকে খুনের ছক কষে সে। তাতে সামিল হয় তার দুই সঙ্গীও। পরিত্যক্ত গুদামে ডেকে পাঠানো হয় আকলিমকে। তাকে নেশা করিয়ে তার গলা কেটে খুন করে তারা।

গোয়েন্দারা জানান, খুন করার পরেই বাবর প্রথমে উত্তরপ্রদেশে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে এক পরিচিতের মাধ্যমে সুরাতে পৌঁছয়। সেখানেই সে লরিচালকের কাজ নেয়। পুলিশ তার খোঁজ করছে জানতে পেরে চালকের কাজ ছেড়ে দেয় বাবর। তদন্তকারীরা জানান, চালকের কাজ ছাড়লেও গত সপ্তাহে মালবোঝাই লরির খালাসি হিসেবে চেন্নাইয়ে পৌঁছয় সে। খবর পেয়ে পশ্চিম বন্দর থানার একটি দলও সেখানে পৌঁছে যায়। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, চেন্নাইয়ের পালানচুর এলাকার একটি বস্তিতে লুকিয়ে ছিল বাবর। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন