বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
একটা রাত কাটিয়েছেন যেমন তেমন করে। বুধবার থেকে নতুন ওয়ার্ডে গিয়ে জেলের মধ্যেই নিজের রুটিন তৈরি করে নিলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। বেছে নিলেন নিজের ডায়েটও।
প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত অবধি নতুন বন্দিরা এলে যেখানে রাখা হয়, বিক্রমকে সেই আমদানি ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছিল। এ দিন তাঁকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে ‘অরবিন্দ’ ওয়ার্ডে। সূত্রের খবর বিক্রমকে কোথায় রাখা উচিত, তা নিয়ে প্রথমে ধন্দে ছিলেন কারা দফতরের কর্তারা। জেলের এক অফিসারের কথায়, ‘‘বিক্রম দাগি অপরাধী নন। ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দি। তাই, যে কোনও জায়গায় তাঁকে রাখা হলে সমস্যা হতে পারে। তাঁকে কুখ্যাত অপরাধীরা হেনস্থাও করতে পারে।’’ এ সব সাত-পাঁচ চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত হয়, অরবিন্দ ওয়ার্ডে রাখা হবে বিক্রমকে। ওই ওয়ার্ডে সাধারণত সাজাপ্রাপ্ত বয়স্ক বন্দি কিংবা বিভিন্ন দেওয়ানি মামলায় অভিযুক্তদের রাখা হয়। ওখানে বিক্রম অনেক শান্তিতে থাকতে পারবেন বলে মনে করছেন কারা-কর্তারা।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে খারিজ আগাম জামিন মামলা
বিক্রম এ দিন জেলের কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন, এ বার থেকে তিনি আর আম-বন্দিদের খাবার খাবেন না। নিজের পয়সায় জেলের ক্যান্টিন থেকে দুপুর এবং রাতের খাবার আনাবেন। নিজেই ক্যান্টিনকে বলেছেন, একদম কম তেলে তৈরি একটি সব্জি এবং সঙ্গে দু’টো করে রুটি খাবেন। ভাত এক্কেবারে নয়, খেলেই ওজন বেড়ে যাবে। মাঝেমধ্যে এক-আধ পিস মাছ বা অল্প চিকেন চলতে পারে।
বুধবার সকাল থেকেই মোটামুটি নিজের রুটিন মতো জেলে থাকতে শুরু করেছেন বিক্রম। সকাল ছ’টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন। তার পর প্রথমে আধঘণ্টা মতো ওয়ার্ডের আশপাশে জগিং করেছেন। সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের শারীরচর্চা। সকালে আর বিকেলে খাবার বলতে চা-বিস্কুট। এ ছাড়া, দুপুর আর রাতের খাওয়া। মধ্যে আর কিছুই খাচ্ছেন না।
তবে এ দিনও সহ-বন্দিদের সঙ্গে সে ভাবে কথা বলেননি। কেউ কথা বলতে এলে খুব সংক্ষেপে জবাব দিয়েছেন। বেশির ভাগ সময়টাই বাড়ি থেকে দিয়ে যাওয়া ইংরেজি গল্পের বই পড়েছেন কিংবা ওয়ার্ডের টিভি-তে চোখ রেখেছেন।