৩০ ঘণ্টা পরে সৎকার বৃদ্ধার দেহ

ভবানীশঙ্কর ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মী। ২০০৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে একা হয়ে যান নীলাদেবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৭
Share:

মৃত্যুর পরে ৩০ ঘণ্টারও বেশি শুয়ে রইলেন হাসপাতালের ঠান্ডা ঘরে। প্রতীকী ছবি।

গত ১৪ বছর ধরে নিঃসঙ্গ ছিলেন তিনি। ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ। বেহালার সেই বাসিন্দা, বৃদ্ধা নীলা সরকার (৭৫) মৃত্যুর পরে ৩০ ঘণ্টারও বেশি শুয়ে রইলেন হাসপাতালের ঠান্ডা ঘরে। শেষে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় এসে বুধবার দেহ সৎকার করেন।

Advertisement

অথচ, বেহালার ওল্ড ডগ রেস কোর্স কোয়ার্টার্সের আশপাশের মানুষ এক সময়ে এক ডাকে চিনতেন ভবানীশঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী নীলাকে। নিঃসন্তান ওই দম্পতি আত্মীয়দের পাশাপাশি প্রতিবেশীদেরও উপকার করতেন।

ভবানীশঙ্কর ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মী। ২০০৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে একা হয়ে যান নীলাদেবী। গত নভেম্বরে অসুস্থ হয়ে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি হন। পুলিশের এক অফিসার জানান, আত্মীয়দের খবর পাঠানো হলেও কেউ যোগাযোগ করেননি। মঙ্গলবার নীলাদেবীর মৃত্যুর পরেও অনেক আত্মীয়ের ফোন বেজে গিয়েছে। শেষে শ্যাওড়াফুলি থেকে কালীকৃষ্ণ সরকার নামে এক ব্যক্তি এসে দেহ সৎকার করতে চান। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘নীলাদেবী আমার খুড়তুতো জেঠিমা।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন