আবার অঙ্গদান, গ্রিন করিডর করে পাশে রাজ্য

দিন কয়েক আগেই তামিলনাড়ুর পথে হেঁটে উদাহরণ তৈরি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ। পথ-দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৮ বছরের স্বর্ণেন্দু রায়ের মস্তিস্কের মৃত্যুর পরে তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর বাবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৬ ০২:১৪
Share:

দিন কয়েক আগেই তামিলনাড়ুর পথে হেঁটে উদাহরণ তৈরি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ। পথ-দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৮ বছরের স্বর্ণেন্দু রায়ের মস্তিস্কের মৃত্যুর পরে তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর বাবা। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল রাজ্য সরকার। এ বার পথ-দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হাওড়ার বাসিন্দা ২৪ বছরের এক যুবকের মস্তিকের মৃত্যুর পরে তাঁর মায়ের ইচ্ছায় অঙ্গদানকে স্বাগত জানিয়ে ফের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল রাজ্য। নবান্নের উদ্যোগে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃতদেহ নিয়ে যেতে তৈরি করা হল ‘গ্রিন করিডর’। উপস্থিত থাকলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতর, হাওড়া সিটি পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা।

Advertisement

গত রবিবার রাতে হাওড়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে আলমপুরে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন পোদরা বিবেকানন্দনগরের বাসিন্দা কৌশিক সরকার। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কৌশিকের বাবার মৃত্যু হয়েছে বছর দুয়েক আগে। মা ও বোনের সঙ্গে থাকতেন তিনি। কাকা শঙ্কর সরকারের ক্যাটারিংয়ের ব্যবসাতেও কাজ করতেন কৌশিক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার পাড়ায় জগদ্ধাত্রী পুজো ছিল। বন্ধুর সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে আলমপুর থেকে খাবার নিয়ে ফিরছিলেন কৌশিক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে দক্ষিণ হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এসএসকেএম এবং সেখান থেকে ফের মধ্য হাওড়ার জৈন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জৈন হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কৌশিকের মস্তিস্কের মৃত্যু হয়েছে ঘোষণার পরেই অঙ্গদানের সিদ্ধান্তের কথা জানান তাঁর মা অর্চনা সরকার। সেই প্রস্তাব পেয়ে জেলার দুই মন্ত্রী অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ওই যুবকের পরিবারকে নবান্নের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ভবানী দাস রাতেই জৈন হাসপাতালে সমস্ত সরকারি প্রক্রিয়া শেষ করেন।

Advertisement

মৃতদেহ যাতে সিগন্যাল ছাড়া নির্বিঘ্নে এসএসকেএমে পৌঁছয়, তার জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করতে আসেন হাওড়ার ডিসি ডিডি সুমিত কুমার। পরে তিনি বলেন, ‘‘নবান্নের নির্দেশে অঙ্গদানের সরকারি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কলকাতা পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশে গ্রিন করিডর করেছেন। এসএসকেএমে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন