অসমাপ্ত কাজ।— নিজস্ব চিত্র।
একই ওয়ার্ডে একটি পার্ক ঢেলে সাজা হয়েছে। অথচ অন্য পার্ক এবং ফুটপাথের কোনও সংস্কার হয়নি। সংস্কারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন বাসিন্দারা। এমনকী পোস্টারও পড়েছিল। এই অভিযোগ উঠছে পূর্বতন বিধাননগর পুরসভার ন’ নম্বর ওয়ার্ডের এডি ব্লকের পার্ক নিয়ে।
ন’নম্বর ওয়ার্ডে একটি ভাষা উদ্যান রয়েছে। সেখানে মুক্তমঞ্চ-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও হয়েছে। এ ছাড়াও ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় সৌন্দর্যায়নও হয়েছে। অথচ এডি ব্লকের ওই পার্ক অবহেলায় পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। সংস্কার শুরু হলেও শেষ হয়নি। ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তৃণমূলের অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বার বার চিঠি দিয়েছি। বোর্ড মিটিংয়েও দু’বার জানিয়েছি। তার পরও কেন হয়নি তা পুরকর্তারা বলবেন।’’ বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু হলেও ঠিকাদার অসুস্থ হওয়ায় কাজ পিছিয়ে যায়। পরে শুরু হয়। যদিও এ নিয়ে পূর্ববর্তী ঠিকাদার, কাউন্সিলর, পুর প্রশাসন ও স্থানীয় তৃণমূলের একাংশের মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট।
শুধু এই পার্কটিই নয়, বিরোধীদল ও বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বৈষম্যের আরও নজির ছড়িয়ে রয়েছে সল্টলেক জুড়ে। যেমন, বিরোধী দল সিপিএমের অভিযোগ, শাসক দলের হাতে থাকা ওয়ার্ডগুলি গুরুত্ব পেলেও তুলনায় ব্রাত্য বিরোধীদের ওয়ার্ড। দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের শাশ্বতী মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের ওয়ার্ডগুলিতে মেরামতির কাজ হয়েছে। শাসক দলের বেলায় সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। ওদের কাউন্সিলরের ওয়ার্ডে যত টাকার কাজ হয়েছে আমাদের ক্ষেত্রে তা হয়নি।’’ একই অভিযোগ শাসক দলের একাংশেরও। তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের কথায়: ‘‘পাঁচ বছরের কাজের পরিসংখ্যান দেখলেই বৈষম্য টের পাওয়া যাবে।’’
পুরকর্তৃপক্ষ অস্বীকার করে জানান, সব ওয়ার্ডেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা করে এবং কাউন্সিলরদের প্রস্তাব মেনেই সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান পারিষদ অশেষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৈষম্যের প্রশ্নই ওঠে না। সব ওয়ার্ডেই গুরুত্ব বুঝে কাজ করা হয়েছে।’’